কুকুরেও আত্মনির্ভর ভারত নীতি!
জার্মান শেপার্ড বা ডোবারম্যানের মতো বিদেশি নয়— সীমান্ত পাহারায় ব্যবহার শুরু হয়েছে দেশীয় প্রজাতির কুকুর। এই সারমেয়রা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, বিস্ফোরক খোঁজা, মানবপাচার রুখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে সাহায্য করছে। সাফল্যের সঙ্গে কাজ করায় বিএসএফের তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই কুকুর ব্যবহারে আগ্রহী হয়েছে অন্যান্য বাহিনী ও রাজ্য পুলিশেরাও। রামপুর হাউন্ড ও মুধোল হাউন্ড নামে ওই দুই প্রজাতির প্রায় ১৫৯টি কুকুর আগামী ৩১ অক্টোবর ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী বল্লবভাই পটেলের দেড়শোতম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে গুজরাতের নর্মদা জেলার একতানগরে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আধা সামরিক বাহিনীর যে কুচকাওয়াজ হবে, তাতে অংশ নিতে চলেছে। আজ বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিংহ চৌধুরী বলেন, ‘‘বাহিনীতে দেশীয় কুকুরের কদর বাড়ছে। সীমান্ত পাহারায় এখন দেশীয় কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ সূত্রের মতে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীদের আটকাতে ওই দু’প্রজাতির কুকুর ব্যবহার করছে বিএসএফ।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ নীতির অঙ্গ হিসেবে পাঁচ বছর আগে নিরাপত্তা বাহিনীতে বিদেশি কুকুরের পরিবর্তে দেশীয় কুকুর ব্যবহারে জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই রামপুর হাউন্ড ও মুধোল হাউন্ড দু’প্রজাতির ভারতীয় কুকুরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়। বিএসএফ জানিয়েছে, স্বাধীনতার আগে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের নবাবেরা শিকার ধরতে রামপুর হাউন্ডের ব্যবহার করে থাকতেন। অন্য দিকে, মুধোল হাউন্ডের স্বাভাবিক বাসভূমি ছিল দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চল। ওই জাতের কুকুরেরা পাহারা দেওয়া, শিকার খুঁজে বার করা ছাড়াও চারিত্রিক দিক থেকে প্রভুভক্ত হওয়ায় মরাঠা সেনা এদের ব্যবহার করত। বিএসএফের দাবি, ওই দুই জাতের কুকুর ভীষণ ক্ষিপ্র, সহিষ্ণু এবং যে কোনও পরিবেশে মানিয়ে নিতে সক্ষম। বিদেশি কুকুরদের প্রতিপালনে যেখানে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়, সেখানে ওই দুই প্রজাতির কুকুরের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ নামমাত্র। ভারতীয় জলহাওয়ায় বড় হয়ে ওঠার কারণে এ গুলি রোগেও ভোগে কম।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)