বছর দুই আগে সমাজমাধ্যমে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা বাদল বাবু। আলাপ জমতে থাকে, গাঢ় হয় প্রেমের সম্পর্কও। পরে বাদল জানতে পারেন তাঁর প্রেমিকার বাড়ি পাকিস্তানে! কিন্তু তত দিনে প্রেমে ‘পাগল’ হয়ে গিয়েছিলেন বাদল। প্রেমিকার প্রস্তাবেই কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধ ভাবে পাকিস্তানে পৌঁছন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। ধর্মও পরিবর্তন করেন। তবে শেষমেশ তাঁর ঠাঁই হল পাকিস্তানের গারদে!
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০ বছর বয়সি বাদলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পাকিস্তানের সানা রানি নামে এক মহিলার। প্রেমের সম্পর্ক গাঢ় হতেই তাঁকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন বাদল। তার পর এক দিন হঠাৎই ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান তিনি। পাকিস্তানের পঞ্জাবের মান্ডি বাহাউদ্দিন জেলার বিলাওয়াল কলোনিতে বাড়ি সানাদের। সেই এলাকাতেই পৌঁছে যান বাদল।
বিলাওয়াল কলোনিতেই এক গরু ব্যবসায়ীর গোয়ালে কাজ নেন বাদল। সন্দেহ এড়াতে মিথ্যা পরিচয়ও দেন তিনি। ব্যবসায়ীকে তিনি জানান, তাঁর নাম রেহান। বাড়ি করাচিতে। তাঁর পরিবারে কেউ নেই! ওই ব্যবসায়ী হাজি খান আসগর জানান, রেহান (বাদল) খুবই সহজ-সরল। সানাকে ভালবাসার কথাও তাঁকে জানান। বাড়িতে ডেকে পাঠান সানার মা। কিন্তু পরে বাদলের পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে বেঁকে বসেন তাঁরা। কিছুটা ভয়ে। তার পরই বাদলের আসল পরিচয় জানাজানি হয়। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এখনও জেলবন্দি বাদল।
আরও পড়ুন:
ফয়জ় রাময় নামে লাহোরের এক আইনজীবী বাদলের হয়ে মামলা লড়ছেন। তিনি জানান, মানবিক কারণেই মামলাটি গ্রহণ করেছেন। তাঁর কাছে বাদল জানিয়েছেন, ভারতে ফিরতে চান না। যে হেতু তিনি পাকিস্তানে এসে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাই বাড়ি ফিরলে, সেখানে বিপদে পড়তে পারেন। তবে ফয়জ়ের এখন মূল লক্ষ্যই তাঁর মক্কেলকে জেলমুক্ত করার।