Advertisement
E-Paper

মহাসাগরে চিনকে টক্কর ভারতীয় নৌসেনার! নতুন সাবমেরিন ‘বাগির’ বিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে ওস্তাদ

এই ডুবোজাহাজে রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। যার সাহায্যে দূর থেকে এই সাবমেরিন বুঝে নিতে পারবে শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজের অবস্থান।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪২
মুম্বইয় আইএনএস বাগিরের নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠান।

মুম্বইয় আইএনএস বাগিরের নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির অনুষ্ঠান। ছবি : টুইটার থেকে।

ভারতীয় নৌবাহিনীতে জুড়ল নতুন সাবমেরিন আইএনএস বাগির। সোমবার মুম্বইয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাগিরকে অন্তর্ভুক্ত করা হল ভারতীয় নৌবাহিনীতে। ভারতীয় নৌসেনা জানিয়েছে, কালভারি শ্রেণির এই ডুবোজাহাজের বিশেষত্ব হল এর ইঞ্জিনে। ডিজেলচালিত এই ইঞ্জিন সহজেই বিভিন্ন অভিযানের জন্য দ্রুত ব্যাটারি রিচার্জ করতে পারে। একই সঙ্গে নিজেকে লুকিয়ে রেখে বিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতেও ওস্তাদ এই ডুবোজাহাজ।

বাগির আসলে এক ধরনের বালির মাছ। তার নামেই নামকরণ হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর এই ডুবোজাহাজের। এই মাছের বিশেষত্ব হল, এরা দূর থেকে শিকারের অবস্থান বুঝে নেয়। তার পর নিজেকে সুবিধা মতো লুকিয়ে হামলা করে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, আইএনএস বাগিরেরও এই একই ক্ষমতা রয়েছে। এই ডুবোজাহাজে রয়েছে অসংখ্য সেন্সর। যার সাহায্যে দূর থেকে এই সাবমেরিন বুঝে নিতে পারবে শত্রুপক্ষের অবস্থান। পাশাপাশি, শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের ছোড়া টর্পেডোকে বিভ্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে বাগিরের।

১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আইএনএস বাগির নামের আরও একটি সাবমেরিন নৌবাহিনীতে ছিল। তবে সেই ডুবোজাহাজটি ছিল রাশিয়া এবং স্পেনের যৌথ প্রযুক্তিতে বানানো। নতুন আইএনএস বাগির বানিয়েছে মুম্বইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার লিমিটেড। ফ্রান্স থেকে আনা প্রযুক্তির সাহায্যেই বানানো হয়েছে নতুন ডুবোজাহাজ। যা গত বছর পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হয়েছে। সেই পরীক্ষা সফল হয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরেই ভারত মহাসাগরে ক্রমশ উপস্থিতি জানান দিচ্ছে চিন। ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চিনের সেনাদের উপস্থিতির পাল্টা পদক্ষপ হিসাবেই আইএনএস বাগিরের নৌসেনায় অন্তর্ভুক্তি। যদিও গত বছর সফল পরীক্ষার পর এ বছরের শুরুতে এমনিতেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল বাগিরের।

উল্লেখ্য, ভারতীয় নৌবাহিনীতে কালভারি শ্রেণির পঞ্চম সাবমেরিন এটি। নৌবাহিনীর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর গোয়েন্দা হিসাবে কাজ করবে বাগির। বিপক্ষের উপর নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি, বিপদের সময় বিপক্ষকে আক্রমণ করার ক্ষমতাও আছে বাগিরের।

INS Vagir (S25) Indian Navy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy