দুর্ঘটনা এবং যাত্রী-মৃত্যুর ঘটনায় বিব্রত রেল কর্তৃপক্ষ এ বার যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নতুন পথে হাঁটছে। বিভিন্ন বিভাগ থেকে কর্মী তুলে এনে তারা এই কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তালিকায় রয়েছে রেল বোর্ড ও জোন সদরের কর্মীদের নাম। ছাপাখানা তুলে দিয়ে সেখানকার কর্মীদেরও যাত্রী নিরাপত্তায় সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োগ করা হবে।
১৯ অগস্ট উৎকল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, নিয়মমাফিক আগাম অনুমতি না নিয়ে লাইন মেরামতির কাজ করাতেই ওই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় রেল কর্তা ও কর্মীদের একাংশের কাজে যে গাফিলতি ছিল, সেটাও তদন্তে উঠে এসেছে। কার্যত এর পরেই যাত্রী সুরক্ষায় অতিরিক্ত কর্মী ব্যবহারের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। কী রয়েছে ওই নির্দেশে? রেল কর্তারা জানান— বড় বড় ডিভিশনে একাধিক (দুই থেকে চার জন) অতিরিক্ত ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের পদ তৈরি করতে হবে, যাতে তাঁদের নেতৃত্বে ডিভিশন জুড়ে সারা দিন নজরদারি চালানো সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল দফতর দু’টিকে মিলিয়ে দেওয়া হবে। বন্ধ করে দেওয়া হবে রেলের সব ছাপাখানা। এই কর্মীদের যাত্রী সুরক্ষার কাজে লাগানো হবে। এ ছাড়া, যাত্রীদের অসুবিধা বুঝতে অফিসারদেরও এ বার থেকে বাতানুকূল তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভ্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে মন্ত্রকের এই নির্দেশে কর্মী ও অফিসারদের একাংশ ক্ষুব্ধ। পরিকাঠামো না বাড়িয়েই ফি বছর একের পর এক নতুন ট্রেন চালু করে গিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। জীর্ণ পরিকাঠামো ওই ভার সহ্য করতে না-পারাতেই বাড়ছে দুর্ঘটনা।
রেল কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরিকাঠামো উন্নত করার কাজ জোর কদমে চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy