অতিমারি পরিস্থিতিতে আয় বেড়েছে রেলের। ফাইল চিত্র।
অতিমারি পরিস্থিতির অব্যবহিত পরে যাত্রীভাড়া খাতে রেলের আয়ের ৪৫ শতাংশই উঠে এসেছে বেশি ভাড়ার বিশেষ ট্রেন চালিয়ে। রেল সূত্রে খবর, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১৭ হাজার ৫২৬.৪৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে শুধুমাত্র বিশেষ ট্রেন চালিয়ে। তথ্যের অধিকার আইনে মধ্যপ্রদেশের সমাজকর্মী চন্দ্রশেখর গৌড়ের করা এক প্রশ্নের উত্তরে রেল জানিয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বিশেষ ট্রেন চালিয়ে রেলের আয় হয়েছিল মাত্র ৮০৪.৭৮ কোটি টাকা। ২০২০-২১ সালের অতিমারির বছরে ওই আয়ের অঙ্ক ছিল ১২ হাজার ২৭. ৮১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ওই আয়ের অঙ্ক একলাফে সাড়ে সতেরো হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে।
রেল সূত্রে খবর, অতিমারি পরিস্থিতিতে অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের পুরনো নম্বর বদলে তার আগে শূন্য বসিয়ে বিশেষ ট্রেনের মর্যাদা দিয়ে ওই সব ট্রেন চালানো হত। সমস্ত বিশেষ ট্রেনেই যাত্রীদের ভাড়া সাধারণ ট্রেনের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি হারে নেওয়া হত।রেল সূত্রে খবর, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সারা দেশে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে, ওই অর্থবছরে অনেক বেশি সংখ্যায় বিশেষ ট্রেন চলায় রেলের যাত্রী ভাড়া খাতে আয়ের অঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছিল। তথ্যের অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪ হাজার ৯২১.১১ টাকা, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ১০ হাজার ৫১৩.০৭ কোটি টাকা, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১১ হাজার ৮৭৩.৪২ কোটি টাকা এবং চতুর্থ বা সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে ১১ হাজার ৭৯৬.৮১ কোটি টাকা আয় করেছে। সব মিলে ওই অর্থ বছরে রেলের যাত্রী ভাড়া থেকে ৩৯ হাজার ১০৪.৪১ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
টাকার অঙ্কে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকাই বিশেষ ট্রেন চালিয়ে পাওয়া। অতিমারি পূর্ব বছরে অবশ্য বিশেষ ট্রেন খাতে রেলের আয় মাত্র ৮০৪ কোটি টাকা হলেও ওই অর্থ বছরে যাত্রী ভাড়া খাতে রেলের আয় হয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থ বছরে রেলের যাত্রী পরিবহণ খাতে আয় বিগত বছরের হিসেব ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন রেল কর্তাদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy