প্রতীকী ছবি।
প্রাক্তন কূটনৈতিক কর্তা এবং প্রাক্তন সামরিক অফিসার স্তরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ‘ট্র্যাক টু’ আলোচনা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, এই উদ্যোগে কোনও দেশের সরকার পক্ষই সরাসরি অংশ নিচ্ছে না। বিদেশ মন্ত্রকের কোনও ভূমিকাও এতে নেই। তবে যে কোনও ‘ট্র্যাক টু’-র মতোই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা সহজ করাই এই আলোচনার লক্ষ্য। সূত্রের বক্তব্য, সম্প্রতি তাইল্যান্ডে এই রকম একটি আলোচনা হয়েছে দু’দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
যে হেতু কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের হালও খুবই খারাপ। ইমরান খানের পর শাহবাজ় শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি এবং তাঁর সরকার বিভিন্ন মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের দিকে তোপ দেগে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু ভিতরে ভিতরে একটা চেষ্টাও রয়েছে নিজ দেশের কোণঠাসা অর্থনীতিকে আগামী ভোটের আগে চাঙ্গা করার। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোটা তাদের প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে। সেই সঙ্গে কাশ্মীরকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতেও উদগ্রীব পাকিস্তানের নতুন সরকার।
বর্তমান ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমের কিছু রাষ্ট্রের চাপও রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার। অর্থাৎ ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি বহাল রাখার।
এই আলোচনার পিছনে আমেরিকাও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এটাও ঘটনা, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দু’দেশের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বিরতি চুক্তির পুনর্নবীকরণ করা হয়। তার পর থেকে সীমান্তে কোনও বড় মাপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে সূত্রের খবর, ট্র্যাক টু আলোচনা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে জট ছাড়ানোর মতো জায়গায় পৌঁছয়নি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy