জনতার হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের সাহায্য পেলেন না যুবক। ছবি: সংগৃহীত।
রাজপথে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দৌড়চ্ছে এক যুবক। মুখ-বুক রক্তাক্ত। পিছনে দৌড়চ্ছে উন্মত্ত জনতা। সামনে পুলিশের গাড়ি দেখে প্রাণ বাঁচাতে তাতে ওঠার চেষ্টা করেন ওই যুবক। কিন্তু, পুলিশ তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে উল্টে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় রাস্তায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
গুয়াহাটির লাল গণেশ এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, আনোয়ার হুসেন নামে ওই যুবক আগে ট্রেকার চালাতেন। মানসিক ভারসাম্য হারানোয় আপাতত তিনি কর্মহীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে লাল গনেশ মোড়ের কাছে এক মহিলাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ওই যুবক। সেই থেকেই গণ্ডোগোলের সূত্রপাত। জনতা তাঁকে বেধড়ক মারতে থাকে। রাস্তায় দাঁড়য়ে থাকা এক পুলিশকর্মী মারমুখী জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই সময় পুলিশের এক সাদা টাটা সুমো ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিল। রক্তাক্ত ওই যুবকের জনতার হাত থেকে বাঁচতে পুলিশের গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করলেও গাড়ির ভিতরে বসা এক অফিসার ও অন্য কর্মীরা তাঁকে ঠেলে সরিয়ে দেন। ফের চলে মারধর। ওই যুবককে বাঁচানো দূরের কথা, স্থানীয় থানাকে খবর দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি ওই গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা।
আরও পড়ুন
গবাদি পশু কেনাবেচায় কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার ব্যাখ্যা তলব সুপ্রিম কোর্টের
ওই ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এর পর ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গোটা ঘটনাটি মোবাইলে ভিডিও করে রাখেন অনেকে। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে পুলিশ। এ নিয়ে ফাটাশিল থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। যাঁরা ওই যুবককে মেরেছেন তাঁদের পাশাপাশি ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ থেকে ওই পুলিশকর্মীদের শণাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy