Advertisement
E-Paper

নোটের আকাল, ক্ষুদ্র ঋণে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে আরও মাস দু’য়েক

নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণের বাজারেও। পুরনো পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট অচল হওয়ায়, এবং পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ আপাতত ‘থেমে’ থাকায় ব্যবসা মার খাচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির।

সুকান্ত সরকার

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৩২

নোট বাতিলের প্রভাব পড়েছে বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণের বাজারেও। পুরনো পাঁচশো এবং হাজার টাকার নোট অচল হওয়ায়, এবং পাশাপাশি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ আপাতত ‘থেমে’ থাকায় ব্যবসা মার খাচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির। অভিযোগ অ্যাসোসিয়েশন অভ মাইক্রো ফিনান্স ইনস্টিটিউট বা এএমএফআই-এর। ফেব্রুয়ারির আগে এই সমস্যা মিটবে বলে তারা মনে করছে না।

মূলত ছোট ব্যবসায়ীদের কম টাকার ঋণ দিয়ে থাকে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি। ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে দৈনন্দিন বা সাপ্তাহিক ভিত্তিতে সুদ-সহ টাকা আদায় করেন সংস্থার কর্মীরা। ঋণ দেওয়া-নেওয়ায় পাঁচশো এবং হাজারের নোটের পাশাপাশি একশো টাকার নোট-ই বেশি ব্যবহার হত। এ রাজ্যে বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার লেন-দেন হয় বেসরকারি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির মাধ্যমে। জানিয়েছেন এএমএফআই-এর চেয়ারম্যান অজিত মাইতি।

এ রাজ্যে ৩২টি ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা কাজ করে। রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই সংস্থাগুলি প্রধানত তাঁদের ঋণ দেয় যাঁরা ব্যাঙ্কে গিয়ে ঋণ নেন না এবং যেখানে এখনও ব্যাঙ্ক নেই সেই সব এলাকার মানুষদের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋণের অঙ্কের পরিমাণ এত কম হয় যে, বেশি ঝক্কি না ব্যাঙ্ক না ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী- কেউই পোহাতে চান না। বাজারে টাকার যোগান কমে যাওয়ার প্রভাব তো রয়েইছে, তার উপর ব্যাঙ্ক সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা না করলেও বাস্তবে ৮ নভেম্বরের পর থেকে এ যাবৎ ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে ঋণ প্রায় দেয়নি বলেই জানিয়েছেন অজিতবাবু। আসলে ঋণ শোধের পরিমাণও কমে যাওয়ায় ব্যাঙ্ক এখন ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে বলেই মনে করছেন অজিতবাবু।

ঋণ শোধের পরিমাণ কি খুব বেশি কমেছে? ক্ষুদ্র ঋণ শোধের পরিমাণ সাধারণত প্রায় ৯৮ শতাংশ। গত এক মাসে এই পরিমাণ ৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে এএমএফআই-সূত্রে জানা গিয়েছে। ক্ষুদ্র ঋণ সাধারণত নিয়ে থাকেন বাজারের সব্জিওয়ালা থেকে শুরু করে পান-সিগারেটের দোকানদার, রিক্সা, ভ্যান চালক, সাইকেল সারাইয়ের দোকান, কুটির শিল্পের উদ্যোগীরা। নোট বাতিলের পর অবধারিত ভাবে এই সব লোকজনদের হাতেও নগদ টাকার পরিমাণ কমে গিয়েছে। ফলে, তার প্রভাব পড়েছে ঋণ শোধের উপরেও। সামগ্রিক ভাবে ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার উপরেও যে তা পড়বে সে কথা বলা বাহুল্য। তবে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ভাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অজিতবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘নভেম্বর মাসের চাইতে এখন অবস্থা অনেকটা ভাল। আশা করছি মাস দুয়েকের মধ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে।’’

আরও পড়ুন: ফিরছে পুরনো সব নোট, কালো টাকা কই

New Currency Micro Loan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy