Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Masood Azhar

পাকিস্তানেই বহাল তবিয়তে মাসুদ, ইসলামাবাদের ‘নিখোঁজ’ দাবি ওড়ালেন ভারতীয় গোয়েন্দারা

২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকায় ফেলে দেয় এফএটিএফ। ইসলামাবাদকে গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত সময়ও দেওয়া হয়।

মাসুদ আজহার।—ফাইল চিত্র

মাসুদ আজহার।—ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:৪৬
Share: Save:

প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টার্স্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বৈঠকের আগে সোমবার পাকিস্তান দাবি করে বসেছিল, জৈশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ইসলামাবাদের সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। তাঁরা বলছেন, কোথাও উধাও হয়নি মাসুদ আজহার। বরং পাকিস্তানে সপরিবারে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদের ওই চাঁই।

ভারতীয় গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন, মুম্বই হামলার মূল চক্রীদের অন্যতম মারকাজ উসমান ও আলি বাহাওয়ালপুর-করাচি রোডের একটি বাড়িতে রয়েছে। আসলে সেটা জৈশ-ই-মহম্মদের হেড কোয়ার্টার। সেখানেই রয়েছে মাসুদ। ওই জঙ্গি নেতার সঙ্গে রয়েছে তার পরিবারও। তার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সুত্র আরও জানিয়েছে যে, বাহাওয়ালপুর ও খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের দু'টি বাড়িতে মাঝে মাঝেই দেখা যায় মাসুদ আজহারকে।

সোমবারই পাক অর্থমন্ত্রী হাম্মাদ আজহার জানিয়ে দেন, আপাত ভাবে মাসুদ আজহারের কোনও খোঁজ মিলছে না। কিন্তু এফএটিএফ-এর বৈঠকের ঠিক আগে আচমকা মাসুদ আজহারকে নিয়ে ইসলামাবাদের ওই বয়ানকে সন্দেহের চোখেই দেখতে শুরু করেছে নয়া দিল্লি। তার কারণ, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে জঙ্গিরা নাশকতামূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে বলে নয়াদিল্লির দীর্ঘদিনের অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে এফএটিএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চ ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে লাগাতার চেষ্টাও চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। ফলে এফএটিএফ-এর বৈঠকে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। বাস্তবে তা ঘটলে বিপুল আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হবে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন: ‘নীতীশকে তো কেউ প্রশ্নই করে না’, বিতর্কে আহ্বান করে বললেন প্রশান্ত কিশোর

আরও পড়ুন: কলকাতায় ফেরা হল না, মুম্বইয়ে জীবনাবসান তাপস পালের

২০১৮ সালে পাকিস্তানকে ‘ধূসর’ তালিকায় ফেলে দেয় এফএটিএফ। ইসলামাবাদকে গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত সময়ও দেওয়া হয়। না হলে ওই আন্তর্জাতিক মঞ্চের কালো তালিকায় পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পাকিস্তানের। ভাবমূর্তি উদ্ধারের চেষ্টায় এ বার সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করছে পাকিস্তান। সম্প্রতি লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদকে ১১ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা স্রেফ লোক দেখানো বলেই মনে করছে নয়াদিল্লি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE