ভারতের আবেদনে প্রথম ‘সিলভার নোটিস’ জারি করল ইন্টারপোল। ভিসা দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত দিল্লির ফরাসি দূতাবাসের প্রাক্তন আধিকারিক শুভম শোকীনের হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তির হদিস পেতেই এই পদক্ষেপ।
শুধুমাত্র পলাতক আসামি, নিখোঁজ ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নয়, এখন থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ বা সম্পত্তির ক্ষেত্রে এই নোটিস জারি করতে পারে ইন্টারপোল। এরই নাম ‘সিলভার নোটিস।’ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে শুরু করেছে ইন্টারপোল। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে ইন্টারপোলের সঙ্গে আছে ভারত-সহ ৫২টি দেশ। ইটালির আবেদনে ইন্টারপোলের তরফ থেকে প্রথম ‘সিলভার নোটিস’ জারি করা হয়। দ্বিতীয়টি হল ভারতের আবেদনে।
ভিসা দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কয়েক বছর আগে দিল্লির ফরাসি দূতাবাসের প্রাক্তন আধিকারিক শুভমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যে শুভম এবং বেশ কয়েক জন মিলে ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি করেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অনৈতিক ভাবে ভিসা প্রদানের জন্য এক এক জনের কাছ থেকে ১৫ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা নিতেন শুভমেরা। ওই দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে গিয়ে অভিযুক্তের বিস্তর সম্পত্তির হদিস পান গোয়েন্দারা। জানা যায়, দুবাই, আরব আমিরশাহিতে শুভমের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। তার আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু অভিযুক্তের খোঁজ মেলেনি। শুভমের সন্ধান পেতে ইতিমধ্যে ‘ব্লু নোটিস’ জারি করেছে সিবিআই। এ বার তাদের আবেদনে ‘সিলভার নোটিস’ জারি করল ইন্টারপোল।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ‘সিলভার নোটিস’-এর মাধ্যমে একটি সদস্য দেশ অপর দেশের কাছে কোনও একটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুরোধ জানাতে পারে। তবে এই সংক্রান্ত প্রতিটি আবেদন পর্যালোচনা করে ইন্টারপোলের সাধারণ সচিবালয়। এই নোটিস যাতে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা। জানা যাচ্ছে, ইন্টারপোলের সদস্য দেশগুলি সব মিলিয়ে মোট ৫০০টি সিলভার নোটিস জারি করার সুযোগ পাবে। ভিন্দেশে থাকা অপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে এই নোটিস ব্যবহার করা যাবে। সিবিআই জানাচ্ছে, তারা ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্বিতীয় ‘সিলভার নোটিস’ জারি করতে চায় অমিত মদনলাল লখনপালের বিরুদ্ধে। ইডি-র খাতায় পলাতক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।