দিনভর অপেক্ষার পরও সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল না প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের। জরুরি ভিত্তিতে বুধবার শুনানি হল না আদালতে। পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার। ফলে আপাতত গ্রেফতারির খাঁড়া ঝুলে রইল চিদম্বরমের উপর।
আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান তাঁরা। বিচারপতি এন ভি রমানার এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি জানিয়ে দেন, মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টি তিনিই দেখবেন। এ দিন আদালতে অযোধ্যা-সহ একাধিক মামলার শুনানি ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, এই সব মামলার শুনানি শেষে চিদম্বরমের মামলাটির শুনানি হবে। কিন্তু শুনানির তালিকায় চিদম্বরমের বিষয়টি নথিভুক্ত না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হয়নি আদালতে। ফলে চিদম্বরমের গ্রেফতারিতে আপাতত কোনও বাধা রইল না। এ দিন সকালেই চিদম্বরমের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ফলে আপাতত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন চিদম্বরমের আইনজীবীরা। সেখানে তাঁরা জানান, ‘বেপাত্তা’ বলে তদন্তকারী সংস্থা দু’টি যে দাবি করছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি পালিয়ে যাননি এবং বিচার প্রক্রিয়াকেও এড়াচ্ছেন না। আদালতকে সিবিআই পাল্টা জানায়, যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ চিদম্বরমের বিরুদ্ধে উঠেছে তা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। অন্য দিকে, ইডি আদালতে একটি ক্যাভিয়েট দাখিল করে। ফলে এই তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য না শুনে কোনও রায় দিতে পারবে না আদালত। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানান, চিদম্বরম ইডি এবং সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। এর আগে হাজিরাও দিয়েছেন। এই মামলায় সমস্ত নথি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সুতরাং তথ্য প্রমাণ লোপাটের কোনও সম্ভাবনাও নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ অযৌক্তিক।