প্রতীকী ছবি।
ফেসঅ্যাপের বিরুদ্ধে এফবিআই তদন্তের দাবি তুললেন মার্কিন সেনেট সদস্য চাক শুমার। টুইটারে একটি চিঠি পোস্ট করে তিনি অভিযোগ করেছেন, মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য— এ ক্ষেত্রে ছবি— যে ভাবে হু হু করে ‘শত্রু দেশের’ হাতে চলে যাচ্ছে, সেটা খুবই উদ্বেগের।
ফেসঅ্যাপ তৈরি করেছে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গের একটি সংস্থা, শুমারের ইঙ্গিত সে দিকেই। যদিও সংস্থার তরফে দাবি, তারা কোনও ছবি নিজেদের কাছে সঞ্চয় করে না গত কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ফেসঅ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ লক্ষ ছবি শেয়ার করছেন নেটিজেনরা। তাতে কখনও নিজেদের তরুণতর বয়সের ছবি, কখনও বা আগামী বার্ধক্যের ছবি দেখিয়ে চলছে রঙ্গ-রসিকতা।
সেই জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন ভারতের অনেকেই, বলিউড তারকারাও। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও এদিন পুরনো টেলিধারাবাহিক থেকে বয়স্ক মেকআপে নিজের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘ফেসঅ্যাপের আগেই!’
সাম্প্রতিক অতীতে আধার কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রচুর আলাপ-আলোচনা হয়েছে। ফেসবুক-কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা কী ভাবে ইউজারদের তথ্য পাচার করেছে, তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সেখানে ফেসঅ্যাপ বা সমতুল অ্যাপগুলি কতটা নির্ভরযোগ্য, সে প্রশ্ন তাই থাকছেই। বিশেষজ্ঞরা অনেকেই পরামর্শ দিচ্ছেন, অ্যাপ-এ লেখা শর্তাবলি পড়ে দেখতে। যেখানে লেখা আছে, ইউজার পাকাপাকি এবং অপরিবর্তনীয় ভিত্তিতে নিজের ছবি এবং প্রোফাইল-তথ্য স্ব-রূপে এবং পরিমার্জিত রূপে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নিখরচায় ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy