গৌরী লঙ্কেশ। —ফাইল চিত্র
সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকারী কি ধরা পড়ে গেল? কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল মঙ্গলবার দু’জনকে গ্রেফতারের পর এই সম্ভাবনা জোরালো হল। ধৃতদের মধ্যে শ্রীরাম সেনার সদস্য পরশুরাম ওয়াগমারেই গৌরী লঙ্কেশের উপর গুলি চালিয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। যদিও এখনই পুলিশ সেকথা নিশ্চিত করে বলতে চাইছে না। পরশুরাম ও শাগরেদ সুনীল আগাসারা আপাতত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই রোমহর্ষক খুনের কিনারা করা যাবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
উত্তর কর্নাটকের বিজয়পুরা জেলার সিন্দাগি শহরের বাসিন্দা পরশুরামের একটি মোবাইলের দোকান রয়েছে। সে শ্রীরাম সেনার সদস্য। জামাকাপড় ইস্ত্রির দোকান চালায় সুনীল। সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নামা কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)মঙ্গলবার পরশুরাম ও সুনীলকে গ্রেফতার করে। তারপরই পুলিশ মনে করছে, গৌরী লঙ্কেশের উপর গুলি চালিয়েছিল এই পরশুরাম। এ নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু না বললেও সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকাণ্ডের সময় যে দু’জনকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে এক জন এই পরশুরাম।
কম আলো এবং দুই আততায়ী হেলমেট পরে থাকায় সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার ছবি ধরা পড়েনি। তবে তদন্তকারী অফিসাররা বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্য নেন দু’জনকে চিনতে। পাশাপাশি,প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে দু’জনের উচ্চতা, ওজন এবং অন্যান্য শারীরিক বৈশিষ্টের বিবরণ নেন। তার সঙ্গে মেলানো হয় সিসিটিভির ফুটেজের ছবি। সব মিলিয়ে হত্যাকারী দু’জনের একটি অবয়ব তৈরির চেষ্টা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই দু’জনকে ধরার পর পরশুরামের উচ্চতা, ওজন ও অন্যান্য বৈশিষ্ট প্রায় পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। সেই মিল এবং পরশুরামের শ্রীরাম সেনা-যোগ, এই সব মিলিয়েই একে একে দুই করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। তবে সেই বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার আগে তদন্তকারী অফিসারেরা এখনই মন্তব্য করতে রাজি নন।
আরও পড়ুন: মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী মধ্যপ্রদেশের ধর্মগুরু
আরও পড়ুন: চুরি করব তো পুলিশের বাড়িতেই!
সেই কারণেই খুনের ঘটনায় পরশুরাম বা সুনীলের ভূমিকা কী, সে বিষয়ে আদালতেও স্পষ্ট করে জানাতে চাননি সরকারি আইনজীবী। দশ মিনিটের শুনানিতে সিটের আইনজীবী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানান।
২০১৭-র ৫ সেপ্টেম্বর দুই বাইকআরোহী আততায়ী লেখক-সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের বাড়ির সামনেই তাঁকে গুলি করে খুন করে। অফিস থেকে ফেরার পথে বাড়িতে ঢোকার মুখেই তাঁকে লক্ষ করে পরপর চারটি গুলি করা হয়। একটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও তিনটি তাঁর শরীর ফুঁড়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy