গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মারি তো গন্ডার, লুটি তো ভাণ্ডার!
এই প্রবাদবাক্যকেই শিরোধার্য করে ময়দানে নেমেছিল মুম্বইয়ের জিটিবি নগরের বছর কুড়ির যুবক কমলজিৎ সিংহ। বছরখানেক ধরে একের পর পুলিশ কোয়ার্টারে ঢুকে সোনাদানা, নগদ টাকা এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রও চুরি করে পালাচ্ছিল সে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে আপাতত শ্রীঘরে কমলজিৎ। কার্যত কিশোর বয়স থেকেই এরকম অভিনব চুরির কৌশল রপ্ত করে হাত পাকানোর ঘটনায় হতবাক মুম্বই পুলিশের দুঁদে গোয়েন্দারাও।
কার্যত দিনরাত চোর-ডাকাত-দুষ্কৃতীদের সঙ্গেই পুলিশের ওঠাবসা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের বাড়িতে চোর-ডাকাত ঢুকবে, এটা আমজনতার ধারণার বাইরে। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে পুলিশকর্মীদের বেশ কয়েকটি বাড়িতে চুরি করেছে বলে স্বীকার করেছে কমলজিৎ। সোনাদানা, টাকাপয়সা তো আছেই, এমনকি একটি বাড়ি থেকে এক পুলিশকর্মীর সার্ভিস রিভলভার এবং ৩০ রাউন্ড গুলিও চুরি করেছে সে। কিন্তু শেষমেষ কালাচৌকি থানার পুলিশের জালে।
আরও পড়ুন
৭০ বছর ধরে স্রেফ হাওয়া খেয়ে বেঁচে আছেন ইনি?
কীভাবে?
কালাচৌকি থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর দিলীপ আগলে ঘটনার বিবরণ দিয়ে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে দুই কনস্টেবলের বাড়িতে চুরি করে কমলজিৎ। তাঁদের মধ্যে বিজয় বানের বাড়ি থেকে ৬০ গ্রাম সোনা এবং ২ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয় সে। এরপর নীচের তলায় কনস্টেবল রাগিনী জাগদালের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি মারছিল। তারপর তালা ভাঙে। কিন্তু ভিতরে কিছু না পেয়ে বাইরে বেরিয়ে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করে। গোটা বিষয়টি দেখে ফেলেন এক প্রতিবেশী। তিনি আবার তাঁর প্রতিবেশী কনস্টেল যশবন্ত রসমকে নিয়ে কমলজিতের পিছু নেয়। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরও এক কনস্টেবল। কমলজিৎ দৌড়তে শুরু করলে তাঁরা তিনজনও পিছু ধাওয়া করেন। শেষ পর্যন্ত কটন গ্রিন রেলওয়ে স্টেশনের স্কাইওয়াকের উপর তাকে ধরে ফেলেন ওই তিন জন। এরপর কমলজিৎ ওয়াডলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন
ইফতারে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন রাহুলের, প্রণব বললেন ‘যাচ্ছি’
জেরায় একের পর এক চুরির কথা স্বীকার করে কমলজিৎ। ওয়াডলা থানায় এর আগেই শহরতলির এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ৫৯ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় ওয়ান্টেড ছিল সে। ২০১৭ সালের অগস্টে বাইকুল্লা থানা এলাকায় এক পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে সার্ভিস রিভলভার ও ৩০ রাউন্ড কার্তুজ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল। তবে পরে জামিন পেয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আরও অন্তত ১৫ জন পুলিশকর্মীর বাড়িতে চুরির ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছিল কমলজিৎ। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যাওয়ায় সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। ওয়াডলা থানার সিনিয়র ইনস্পেক্টর পরশুরাম কারিয়াকার্তে বলেন, ‘‘এত অল্প বয়সেপ্রচুর অপরাধ করেছে ধৃত কমলজিৎ। এই ঘটনায় আমরাও বিস্মিত।’’
পুলিশ জানিয়েছে, কমলজিতের বোন গুরুপ্রীত কউরও ড্রাগ ডিলার। সে-ও পুলিশের খাতায় ওয়ান্টেড।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy