লস্কর-ই-তইবা আর পাকিস্তানের পতাকা আগেও উড়েছে। তবে এ বার হুরিয়ত সমর্থকেরা পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা নিয়ে মিছিল করলেন কাশ্মীর উপত্যকায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট ছুড়লে কয়েক জন আহত হন। এর পরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
মঙ্গলবার কাশ্মীরের সোপোরে অজ্ঞাতপরিচয় এক আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় তেহরিক-ই হুরিয়তের কর্মী আলতাফ শেখের। প্রতিবাদে আজ প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সইদ আলি শাহ গিলানি। সেই মতো কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে আজ জামিয়া মসজিদ থেকে নওহট্টা পর্যন্ত মিছিল করেন হুরিয়ত সমর্থকেরা। সেখানেই ওড়ানো হয় আইএস এবং পাকিস্তানের পতাকা। নওহট্টার কাছেই রাস্তা অবরোধ করে পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন প্রতিবাদীরা। সঙ্গে সঙ্গেই বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট ছুড়তে থাকলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। এই ঘটনায় ৪ জন পুলিশকর্মী-সহ ১২ জন আহত হয়েছেন। অন্য দিকে, কুপওয়ারা জেলায় আজই আফজল গুরুর মৃতদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান হুরিয়ত সমর্থকেরা। পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয় সেখানেও। পাক পতাকা উত্তোলন এবং পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে গত ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা মাসারত আলম বাট। আপাতত তাঁকে জম্মুর একটি জেলে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি আদালতের কাছে কাশ্মীরের কোনও জেলে তাঁকে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানান তিনি। তবে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে একটি রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কাশ্মীরের আইনশৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে এবং নিরাপত্তার খাতিরে মাসারতকে উপত্যকায় আনা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy