ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ককে ভারতে স্বাগত জানিয়েও পরে সেই পোস্ট মুছে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এক্স হ্যান্ডলে পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘ভারতে স্টারলিঙ্ককে স্বাগত।’’ যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট নিজের সমাজমাধ্যম থেকে মুছে ফেলেন তিনি। পরে আবার একই কথা পোস্ট করেছিলেন। যদিও তার সঙ্গে জুড়ে দেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকায় রেল প্রকল্পের জন্য কার্যকর হবে।’’ তবে বর্তমানে রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর সমাজমাধ্যমে সেই পোস্টও দেখা যাচ্ছে না!
দিন দুয়েক আগে প্রথমে এয়ারটেল এবং পরে জিয়ো, স্টারলিঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করে। মঙ্গলবার ভারতী এয়ারটেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ভাইস চেয়ারম্যান গোপাল ভিট্টল জানিয়েছিলেন, স্টারলিঙ্কের ‘হাই স্পিড’ ইন্টারনেট পরিষেবা এয়ারটেলের পরিকাঠামোর মাধ্যমে পাবেন ভারতীয় গ্রাহকেরা। পাশাপাশি, স্পেসএক্সের সমস্ত পণ্য পাওয়া যাবে এয়ারটেলের বিপণি থেকে। এয়ারটেলের ঘোষণার এক দিন পরই রিলায়্যান্স জিয়ো-ও একই ঘোষণা করে। সেই আবহেই অশ্বিনীর পোস্ট খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত অনেকের।
মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স-ই স্টারলিঙ্ক পরিষেবা দেয় বিশ্ব জুড়ে। ইতিমধ্যেই এই পরিষেবা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকেরা দ্রুত গতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্যাটেলাইট সংযোগ ব্যবহার করে থাকে। যে হেতু এটি কোনও ফাইবার তারের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করে না, তাই প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেই পরিষেবা পৌঁছোতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পরিষেবা ব্যাহত হয় না বলে দাবি সংস্থার।
আরও পড়ুন:
ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা প্রদানের জন্য এখনও ছাড়পত্র পায়নি স্পেসএক্স। দেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক পরিষেবা অনুমোদনের বিষয়ে খুবই সতর্ক ভারত সরকার। অতীতে মাস্ক একাধিক বার স্টারলিঙ্ক পরিষেবার অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার জন্য দরজা খুলে দেয়নি নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে এখন পরিস্থিতি বদল হয়েছে। মাস্ক আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অংশ। আর ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ‘বন্ধুত্বে’র কথা অজানা নয়। আমেরিকা সফরে মাস্কের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তার পরই এয়ারটেল, জিয়োর সঙ্গে স্টারলিঙ্কের চুক্তি স্বাক্ষরিত হল। সেই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পোস্ট। অনেকের মতে, স্টারলিঙ্কের জন্য অনুমোদন পেতে আর বেশি বেগ পেতে হবে না মাস্ককে!