প্রতীকী ছবি।
হোটেল ছেড়ে অন্যত্র প্রচারে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিন রাতে সেই ঘরেই তল্লাশি শুরু করল আয়কর অফিসাররা। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বসে রয়েছেন আর একটি হোটেলে। হঠাৎই আয়কর দফতর হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করল কয়েক লক্ষ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদ করল কংগ্রেসের নেতাদেরও।
গত কয়েক দিন ধরেই ভোটমুখী কর্নাটকে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে চলছে একের পর এক আয়কর হানা। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ এনেছেন, গোটাটাই নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের নির্দেশে হচ্ছে। বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে কংগ্রেসকে।
ঘরোয়া মহলে কয়েক দিন ধরেই কংগ্রেস নেতারা বলছিলেন, ‘‘বিজেপি এক একটি কেন্দ্রে প্রার্থী পিছু ২০ কোটি টাকা করে খরচ করছে। অথচ আয়কর দফতরের নজর সে দিকে যাচ্ছে না। কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’’ তবে হানার পরিমাণ ‘মাত্রাছাড়া’ হয়ে পড়ায় আজ কংগ্রেস সরাসরি নালিশ জানাল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
আনন্দ শর্মার নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল কমিশনের কাছে লিখিত নালিশ জানায়, শুধু তাঁদের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই আয়কর হানা হচ্ছে। অথচ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা-সহ দলের অন্য নেতাদের বেলায় চোখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। প্রতিনিধি দলটির মতে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে অন্য কোনও ভাবে হেনস্থা করা যাচ্ছে না বলে, মোদী সরকারের অধীনস্থ আয়কর দফতরের অপব্যবহার করা হচ্ছে।
কংগ্রেসের দাবি, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও সংস্থা যেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের তল্লাশি চালাতে না পারে। অবিলম্বে দিল্লি থেকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকেও এ ব্যাপারে নির্দেশ পাঠানো হোক।
তবে কংগ্রেসের অভিযোগের মুখে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ বিতর্ককে আরও উস্কে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে কেন্দ্র থেকে লড়ছেন, সেখানে আয়কর দফতর হানা দিয়েছে। কংগ্রেস সমর্থকের কাছ থেকে লক্ষ-কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোটি কোটি টাকা কোথায় বণ্টন করা হবে, সে চিঠিও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’’ অমিতের দাবি, ‘‘হার নিশ্চিত জেনে সিদ্দারামাইয়া এখন অন্যায়ের পথ নিয়েছেন, টাকা বিলোচ্ছেন। কিন্তু বিজেপি কর্নাটকের সাড়ে ছ’কোটি জনতার ভোটের জোরে জিতবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy