ভোটের লাইনে ভিড়। মুম্বইয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
পুরভোট নয়, এ যেন বিধানসভার নির্বাচনের মহড়া। দু’দশকের বিজেপি-শিবসেনা গাঁটছড়া ভেঙে যাওয়ার পর প্রথম বার নির্বাচনী ময়দানে যুযুধান দু’দল। বৃহন্মুম্বই ছাড়াও ভোট নাগপুর, ঠাণে, পুণে নাসিক-সহ ন’টি পুরসভা, ১১টি জেলা পরিষদ ও ১১৮টি পঞ্চায়েত সমিতিতে। তবে মর্যাদার লড়াই মুম্বই পুরসভাকে ঘিরেই।
দিন চারেক আগেই মহারাষ্ট্রে প্রথম দফায় পুরভোট হয়েছে। গত বার বৃহন্মুম্বইয়ের ২২৭টি আসনের মধ্যে শিবসেনার দখলে ছিল ৭৫টি আসন। কংগ্রেস ৫২, বিজেপি ৩১ এবং এনসিপি ১৩টি আসনের দখল নেয়। আজ ছিল দ্বিতীয় এবং শেষ দফার ভোট। দু’দফা মিলিয়ে বৃহন্মুম্বইয়ের ২,২৭৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গেল এই ভোটে।
আরও পড়ুন
থানায় ঢুকে পুলিশ অফিসারকে চড় কষালেন বিজেপি বিধায়কের স্বামী
ভোট দিলেন হেমামালিনী। ছবি: সংগৃহীত।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হতেই সকাল থেকে মুম্বইয়ের বুথগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুম্বই শহরে ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা গত ২৫ বছরে সবচেয়ে বেশি। অন্য দিকে, ঠাণেতে ভোট পড়েছে ৫৩.১১ শতাংশ, উল্লাসনগরে ৪৬.৮৩ শতাংশ, পুণেতে ৪৯.৫২ শতাংশ ও নাসিকে ৫২.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ভোট দিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, এনসিপি-র শরদ পওয়ার, লেখিকা শোভা দে, হেমামালিনী, রেখা, সোনম কপূর, জোয়া আখতারের মতো সেলিব্রিটিরাও। দুপুর পর্যন্ত মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট এগোলেও কয়েকটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। উল্লাসনগরের আজাদনগরে একটি পোলিং বুথের বাইরে জমায়েতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে। আজাদনগরে এলাকার এক প্রার্থী আশা ইদনানির গাড়ি লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি-র শাইনা এনসি অভিযোগ করেন, নাপানসি রোডের পোলিং বুথে উপস্থিত হলেও ভোটার তালিকায় তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে অবশ্য তিনি ভোট দিতে পেরেছেন। এ দিন সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় শাখায় ঘুরে পরিস্থিতি দেখতে বের হন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে স্বয়ং।
আরও পড়ুন
‘গাধা’র প্রচার ছাড়ুন, আর্জি অমিতাভকে
আমরাও ভোট দিয়েছি, জানালেন জোয়া আখতার, রেখা ও সোনম কপুর। ছবি: সংগৃহীত।
গত দু’দশক ধরেই মুম্বইয়ের পুরসভার দখল রয়েছে শিবসেনার হাতে। তবে বৃহন্মুম্বইয়ে আসন সমঝোতা না হওয়ায় বিজেপি-শিবসেনা আলাদা হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শিবসেনা বৃহন্মুম্বইয়ের রাশ হারালে একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। কেন্দ্র ও রাজ্যে জয়জয়কারের পর দেশের ধনীতম পুরসভার দখলও নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া ছিল বিজেপি। নির্বাচনের আগে তাই আসরে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস।নির্বাচনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিজেপি হারলে তাঁর দায় আমার। আর জিতলে পুরোপুরি দলের কৃতিত্ব।” পিছিয়ে ছিলেন না শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও। দু’দলই ব্যক্তিগত স্তরে নেমে কাদা ছোড়াছুরিতেও পিছুপা হয়নি। শেষমেশ শহরের দখল কার হাতে গেল তা জানা যাবে আগামী বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy