Advertisement
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

‘খাবারের জন্য খুন মানে খুন সংবিধানই’

খাবারের জন্য যদি কাউকে পিটিয়ে খুন করা হয় তবে তা ভারতীয় সংবিধানকে পিটিয়ে খুন করার শামিল বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।

  সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫১
Share: Save:

খাবারের জন্য যদি কাউকে পিটিয়ে খুন করা হয় তবে তা ভারতীয় সংবিধানকে পিটিয়ে খুন করার শামিল বলে মন্তব্য করলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

আজ বম্বে বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে কয়েকটি ঘটনার নজির দিয়ে সংবিধানের মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘‘খাবারের জন্য কাউকে পিটিয়ে খুন করা হলে বা ব্যঙ্গচিত্রের জন্য কার্টুনিস্টের জেল হলে সংবিধানটাই ব্যর্থ হয়ে যায়। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় যদি ব্লগারের জেল হয় তাহলেও সংবিধান ব্যর্থ হয়।’’ চন্দ্রচূড়ের কথায়, ‘‘ধর্ম বা জাতের ভিত্তিতে কারও ভালবাসায় বাধা দেওয়া হলে সংবিধান ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে। সম্প্রতি এক দলিত বরকে ঘোড়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখনও সংবিধান কেঁদেছে।’’

বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, ভারতীয় সংবিধানের শিকড় যাতে এ দেশের মূল্যবোধের সঙ্গেই যুক্ত থাকে তা সংবিধান প্রণেতারা নিশ্চিত করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে শবরীমালা মন্দিরে ঋতুমতী মহিলাদের ঢোকার প্রসঙ্গও টেনেছেন বিচারপতি। তাঁর কথায়, ‘‘মহিলার মর্যাদার অধিকার আর ধর্মীয় অধিকার বিচ্ছিন্ন নয়।’’

উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গোমাংস রাখার ‘অভিযোগে’ পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আখলাককে। নরেন্দ্র মোদী জমানায় তথাকথিত ‘গোরক্ষকদের’ হামলা নিয়ে একাধিক বার বিতর্ক হয়েছে। আবার কেরলে ভাত চুরি করে খাওয়ায় এক আদিবাসী যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল। ব্যঙ্গচিত্র এঁকে কয়েক বছর আগে জেলে যেতে হয়েছিল কার্টুনিস্ট অসীম ত্রিবেদীকে। গত সপ্তাহেই আবার মুম্বইয়ের ‘ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট’-এ বক্তৃতার মধ্যে বাধা দেওয়া হয়েছে শিল্পী ও অভিনেতা অমোল পালেকরকে। দেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক বিশিষ্ট জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE