সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ‘নস্ট্যালজিক’ জাগরণীর পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁদের পুজোর এ বার ৫০ বছরের টুকরো টুকরো স্মৃতি।
প্রতি বারই থিমে জোর দিয়েছে জাগরণী। এ বার তাঁদের থিম গুজরাতের গাঁধীনগরের অক্ষরধাম মন্দির। তারই আদলে মণ্ডপ। হাইলাকান্দি শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের টোল রোডের ওই পুজোর সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ পালনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এক বছর আগেই। গত লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন পাড়ার সবাইকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন পুজোর আয়োজকরা। এ বারের পুজোয় সভাপতি মনোজিৎ দেব, কার্যকরী সভাপতি সুনীল শর্মা ও দিলীপ দাস, সহ-সভাপতি সুধাংশু দে ও বিজু দেবরায়। সম্পাদক রত্নময় বিশ্বাস, পারিজাত দেবরায়। যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ দেবরায়, সৌমাভ আচার্য এবং শুভজিৎ দেব। কোষাধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দেব, অভিজিৎ মিত্র এবং মানসজ্যোতি দেব। রথযাত্রার দিন দেবীমূর্তির গড়তে শুরু করেন মৃৎশিল্পী। পাড়ার মহিলারা শাঁখ বাজিয়ে উলুধ্বনি দেন।
৫০ বছর আগে তৎকালীন হাইলাকান্দি মহকুমার প্রাচীন টোল রোডে কয়েকটি পরিবারের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল জাগরণীর পুজো। তৈরি হয় জাগরণী সংস্থা। সেটা ১৯৬৬ সালের কথা। হাইলাকান্দি তখন বৃহত্তর কাছাড় জেলার একটি মহকুমা। শহরে পুজোর সংখ্যা হাতেগোণা। হাইলাকান্দির টোল রোড বা চতুস্পাটি রোডে তখন মাত্র কয়েকটি পরিবারের বসবাস। প্রথম দিকে ওই পুজোর দায়িত্বে ছিলেন হরিপ্রসন্ন সেন, বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত, সমরেন্দ্র ভট্টাচার্য, যশোবন্ত চক্রবর্তী। পুজোর আয়োজকরা সাবেকিয়ানাকেই ধরে রেখেছেন। পুজোর থিমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাকেও। মাত্র ২ হাজার টাকা বাজেট ছিল প্রথম পুজোয়। এখন তা কয়েক লক্ষ টাকা। শারদোৎসবের দিনগুলিতে জাগরণীর পুজো দেখতে উপত্যকার অনেকে ভিড় জমান।
অভিজিৎ মিত্র, সৌমাভ আচার্য এবং মানবজ্যোতি দেবরায় জানান— তিন কাঠামোর প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। গড়ছেন মৃৎশিল্পী হরি পাল। মণ্ডপে থাকবে গত ৫০ বছরের টুকরো স্মৃতি। থাকবে আনকোরা আলোকসজ্জা। পঞ্চাশ বছরের পুজোর ইতিহাস নিয়ে প্রকাশিত হবে জাগরণীর স্মরণিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy