Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Atiq Ahmed Murder

‘জ্যামারের ফ্রিকোয়েন্সি কমাও, ফোন করব’, রাজি না হওয়ায় জেলারকে থাপ্পড় মারেন আতিক

জ্যামারের ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে ফেললে জেলের ভিতর থেকেই আতিক তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জেলারের কাছে এই দাবি করেন আতিক।

Atique Ahmed

জেলে থাকাকালীন এক জেলারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আতিক আহমেদ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৩৩
Share: Save:

আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য এখন গ্যাংস্টার আতিক এবং আশরফের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। জেলে থাকাকালীন এক জেলারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন আতিক। আতিকের কথা না মেনে চলার কারণেই জেলারকে থাপ্পড়ও মেরেছিলেন তিনি। প্রাক্তন জেল সুপার এইচবি সিংহ এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন।

২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের ঘটনা। ‘দৈনিক ভাস্কর’ এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের শুয়াটস কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির পর আতিক থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেফতার করে নাইনি সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়।কারাগারের ভিতরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নি‌ষিদ্ধ। কয়েদিরা যাতে ফোনের মাধ্যমে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারে, সে কারণেই এই ব্যবস্থা নেওয়া। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার জন্য জেলে জ্যামারও লাগানো ছিল। এইচবি সিংহ জানান, ২০১৭ সালে নাইনি সেন্ট্রাল জেলে থাকাকালীন ফোন ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন আতিক।

এক জেলারকে তিনি জ্যামারের ফ্রিকোয়েন্সি কমাতে বলেন বলে দাবি করেন এইচবি সিংহ। জ্যামারের ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে ফেললে জেলের ভিতর থেকেই আতিক তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন বলেই জেলারের কাছে এই দাবি করেন আতিক। কিন্তু জেলের ভিতর ফোন ব্যবহার করা যে নিয়মবহির্ভূত, তা আতিককে জানিয়েছিলেন ওই জেলার। কিন্তু জেলারের উত্তরে শান্ত থাকতে পারেননি আতিক।

এইচবি সিংহের মতে, জেলারের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আতিক। জেলারকে কুমন্তব্য করতেও পিছপা হননি তিনি। জেলার যখন আতিককে শান্ত করার চেষ্টা করেন, তখন জেলারের গালে এক থাপ্পড় মারেন আতিক। এমনটাই দাবি করেছেন এইচবি সিংহ। শনিবার রাতে পুলিশের চোখের সামনেই ‘হাই প্রোফাইল’ জেলবন্দি আতিক এবং তাঁর ভাই আশরফকে হত্যা করা হয়। দুই জেলবন্দিকে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। হাতকড়া পরা অবস্থাতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন আতিক। সেই সময় আচমকা গুলি চলে। গুলির আঘাতে আতিক এবং আশরফ দু’জনেই মারা যান। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, আততায়ীরা সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি সেজে এসেছিল। বক্তব্য (বাইট) জানার সময়েই দু’জনকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Atiq Ahmed Uttar Pradesh Prayagraj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE