(বাঁ দিক থেকে) মাসুদ আজহার এবং রউফ আসগর।
আফগানিস্তানে আমেরিকার সেনাদের ফেলে যাওয়া অস্ত্র তালিবানের হাত ধরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের মাধ্যমে ঢুকছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে ধারাবাহিক ভাবে জঙ্গি অনুপ্রবেশ চলছে বলেও গোয়েন্দা রিপোর্ট জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উপত্যকায় একের পর এক জঙ্গি হামলার বিষয়টি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর।
গত কয়েক মাসে জম্মু এবং দক্ষিণ কাশ্মীর মূলত জঙ্গিদের নিশানা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্তত ৩৫ জন জঙ্গি ওই এলাকায় সক্রিয়। সেনার তরফে জানানো হয়েছে মূলত সাম্বা এবং কাঠুয়া এলাকায় এলওসি পেরিয়ে তারা কাশ্মীরে ঢুকেছে। সেখানে ২০১৯ সালের পুলওয়ামা সন্ত্রাসে জড়িত পাক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের ভাই রউফ আসগর স্বয়ং নাশকতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে প্রকাশিত একটি খবরে দাবি।
আজহারের মতোই রউফের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আবেদন জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু চিনের আপত্তিতে তা থমকে গিয়েছিল। এ ছাড়া কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উরজ নালা থেকেও অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেখানে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে আর এক জইশ নেতা কাসিফ জান। শনিবার অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় জঙ্গি হামলায় দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সেনার দাবি, নিরাপত্তাজনিত দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ‘ইতিবাচক’। কারণ, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়েছিল। অভিযানে জঙ্গিদের গতিবিধি এবং আশ্রয়ের জায়গা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সেনার হাতে এসেছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট করাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নিরাপত্তাবাহিনীর আধিকারিকদের মতে, সেই ভোট বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান এবং তাদের মদতপুষ্ট সংগঠনগুলি। সেই পরিকল্পনা সফল হলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয়াদিল্লিকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারবে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে সেনা, রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, বিএসএফ, সিআরপিএফের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশের প্রাচীনতম আধাসামরিক বাহিনী অসম রাইফেলসকে আনা হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। জঙ্গলযুদ্ধে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত দু’টি ব্যাটেলিয়ানকে মণিপুর থেকে এনে সাম্বা সেক্টরের উত্তরে মাচেদিতে মোতায়েন করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy