E-Paper

‘পিওকে-র সঙ্গে বাণিজ্য আন্তঃরাজ্য’

শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী মেনে নেন যে, এটি আন্তঃরাষ্ট্র বাণিজ্য নয়, বরং একই রাজ্যের অভ্যন্তরের বাণিজ্য, যা দুই দেশের আমদানি-রফতানি হিসেবে গণ্য হয় না।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:২৩

—প্রতীকী চিত্র।

পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণরেখা পারাপার করে হলেও তা আদতে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য। কারণ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই সব এলাকা বাস্তবে জম্মু-কাশ্মীরেরই অংশ এবং সেই হিসেবে সেগুলি ভারতের অংশ বলে এক রায়ে জানাল জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ২০০৮ সালের অক্টোবরে শ্রীনগর–মুজফ্‌ফরাবাদ এবং পুঞ্চ–রাওয়ালকোট পথে ভারত–পাকিস্তানের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধির উদ্যোগ হিসেবে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এই বাণিজ্য শুরু হয়েছিল। তবে ২০১৯-এ পুলওয়ামা হামলার পরে এই বাণিজ্য স্থগিত করা হয়। ওই বাণিজ্যে অংশগ্রহণকারীরা জিএসটি আদায়ের একগুচ্ছ মামলা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। ওই ব্যবসায়ীরা আগে ২০০৫ সালের জম্মু-কাশ্মীর মূল্য সংযোজিত কর (ভ্যাট) আইনে করছাড়ের সুবিধা পেলেও কেন্দ্রীয় জিএসটি আইন বা জম্মু-কাশ্মীর জিএসটি আইনে কোনও ছাড় পাননি। জিএসটি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই ব্যবসায়ীরা বিপুল পণ্য আদানপ্রদান করলেও সেই অনুযায়ী রিটার্ন জমা করেননি। তাই নোটিস জারি করা হয়।

শুনানিতে আবেদনকারীদের আইনজীবী মেনে নেন যে, এটি আন্তঃরাষ্ট্র বাণিজ্য নয়, বরং একই রাজ্যের অভ্যন্তরের বাণিজ্য, যা দুই দেশের আমদানি-রফতানি হিসেবে গণ্য হয় না। বিচারপতি সঞ্জীব কুমার ও বিচারপতি সঞ্জয় পারিহারের বেঞ্চ জানায়, আবেদনকারীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করেছিলেন। তাঁরা জানতেন যে, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে চলা এই বাণিজ্যকে জিএসটি থেকে ছাড় দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আইনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। ফলে কর দেওয়া তাঁদের দায়িত্ব।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jammu and Kashmir Line of Control Ladakh High Court POK

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy