জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উপরে হামলা রুখতে গ্রামরক্ষী বাহিনী (ভিলেজ ডিফেন্স কমিটি) গড়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি এস পি বৈদ্য। তাঁর মতে, ওই কমিটির সদস্যদের হাতে অস্ত্র দেওয়া যেতে পারে। অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের গ্রামপ্রধান অজয় পণ্ডিত ভারতীকে সম্প্রতি খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিরা। তার পর থেকেই সুরক্ষা ও অস্ত্রের দাবি তুলেছেন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের একাংশ। আজ সেই দাবিকে সমর্থন করে বৈদ্য বলেন, ‘‘কাশ্মীরে গ্রামরক্ষী বাহিনী গঠন কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। পরিকল্পনা করেই এটা করতে হবে।’’ বৈদ্য জানিয়েছেন, ১৯৯০-এর দশকে যখন পণ্ডিত সম্প্রদায়ের বহু সদস্য কাশ্মীর ছেড়ে চলে যান, তখন চন্দ্রভাগা উপত্যকাতেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে জঙ্গি হামলা শুরু হয়। তখন সেখানে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে সশস্ত্র গ্রামরক্ষী বাহিনী তৈরি করা হয়েছিল। তার ফলে তাঁরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পেরেছিলেন। বৈদ্য জানান, ১৯৯৫-এ উধমপুর জেলা পুলিশের এসএসপি পদে ছিলেন তিনি। তখন বাগানকোট গ্রামে গ্রামরক্ষী বাহিনী গড়ার কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জম্মু-কাশ্মীর সরকার আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দিয়েই চন্দ্রভাগা উপত্যকায় গ্রামরক্ষী বাহিনী তৈরি করেছিল।
অন্য দিকে, এ দিনও অনন্তনাগের নিপোরা এলাকায় বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। গোপন সূত্রে জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযানে নামে বাহিনী। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল ও তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। সেনার দাবি, নিহতেরা হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য। এ দিন শ্রীনগর-বান্দিপোরা সড়কের উপরে রাখা একটি আইইডি নিষ্ক্রিয় করে বাহিনী। তাদের দাবি, বাহিনীর কনভয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে সেটি রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পুরীর রথে কি হাতির টান? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী সপ্তাহে
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা সফুরার জামিন চেয়ে আবেদন মার্কিন আইনজীবী সংগঠনের
আজ দেহরাদূনে এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে বলেন, ‘‘গত ১০-১৫ দিনে ১৫ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই জঙ্গি গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করছেন। এ থেকেই বোঝা যায় জঙ্গিদের কার্যকলাপ তাঁরা আর সহ্য করতে চাইছেন না। সব বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতাও বেড়েছে।’’