জম্পুই পাহাড়ে ভাংমুন গ্রামে কফি চাষ।
কমলালেবুর পাহাড় হিসেবে পরিচিত জম্পুইয়ে এখন কফি চাষে মজেছেন বাসিন্দারা। আগরতলা থেকে শ’দুয়েক কিলোমিটার দূরে পার্বত্য ত্রিপুরায় ওই পাহাড়ের কোলে ভাসম, মংচুয়ান, মনগ্পুই, ভাংমুন, বেলিয়ানিচপ, বাংলাবাড়ি, সবুয়াল, দারকুং, ফুলদংসাই গ্রাম ভরেছে বাহারি কফি বাগানে। ২০০২ সালে ১৫টি পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে জম্পুই পাহাড়ে কফি চাষ শুরু করেছিল ভারতীয় কফি বোর্ড। সেখানকার লুসাই জনজাতির মানুষের কাছে এখন ওই চাষই মূল জীবিকা।
কয়েক দশক আগেও ছবিটা অন্য রকম ছিল। মরসুমে জম্পুই পাহাড় ভরে থাকত কমলালেবু রঙে। যেমন সে সবের আকার, তেমনই মিষ্টি। কিন্তু আচমকা অচেনা পোকার আক্রমণে ছারখার হয়ে গেল কমলালেবু গাছগুলি। ক্রমে কমছিল উৎপাদন। সমস্যায় পড়েন এলাকাবাসী। ওই সময়ই কফি বোর্ড ও ত্রিপুরার উপজাতি কল্যাণ দফতর বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করে। শুরু হয় কফির চাষ। তাতেই হাল বদলেছে জম্পুই পাহাড়ের।
শুধু মাত্র জম্পুই-ই নয়, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণ জেলাতেও পরীক্ষামূলক ভাবে কফি চাষ শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বর্তমানে রাজ্যের ৩৮০ হেক্টর জমিতে কফি চাষ হচ্ছে। জম্পুইয়ে কফি ফলাচ্ছে ৭৩০টি লুসাই পরিবার। সবরুম ও তুলকনায় ৩৭টি পরিবার ওই চাষ করছে।
কফি বোর্ডের রাজ্য আধিকারিক অসীম দাস জানান, ত্রিপুরার কয়েকটি এলাকার জলবায়ু, ভূ-প্রকৃতি ও মাটির উর্বরতা কফি চাষের অনুকূল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে কফি উৎপাদন যেখানে হেক্টর পিছু ৮৩৭ কিলোগ্রাম, সেখানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তা এখনও ৫৫-৬৫ কিলোগ্রাম। কফি বোর্ডের বক্তব্য, ত্রিপুরার কয়েকটি অঞ্চলে কফি চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অন্য প্রান্তকে এ রাজ্য পিছনে ফেলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy