বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির থেকে অন্তত একটি বেশি আসনে লড়ার দাবি জানালেন জেডিইউ নেতৃত্ব। আজ অমিত শাহ প্রচারাভিযানে বিহারে গেলে তাঁর সঙ্গে পটনাতে দেখা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সূত্রের দাবি, নীতীশের দলের চাহিদা মেনে তাদের ১০১টি আসন ছেড়ে দিয়ে বিজেপির ১০০টি আসনে লড়ার বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
গত সপ্তাহে পটনা গিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। সে যাত্রায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে নড্ডার সঙ্গে দেখা হয়নি নীতীশের। কিন্তু আসন সমঝোতা নিয়ে দু’দলের মধ্যে বাড়তে থাকা দূরত্বের কারণেই দুই নেতা সাক্ষাৎ এড়িয়েছিলেন বলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়পটনার রাজনৈতিক অলিন্দে। তাই ভোটের ঠিক আগে এই ধরনের জল্পনায় জল ঢালতে আজ পটনার হোটেলে গিয়ে শাহের সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ। সূত্রের মতে, বৈঠকে দু’দল কত সংখ্যক আসনে লড়বে, শরিকদের ক’টি আসন ছাড়া হবে, সে সব নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকের পরে পটনা থেকে বেগুসরাই যান শাহ। ওই কেন্দ্রের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে সাতটির মধ্যে কেবল তিনটি বিধানসভা আসন এনডিএ-র দখলে রয়েছে। তাই ওই এলাকায় সার্বিক ভাবে ভাল ফল করার লক্ষ্যে শাহ কুড়িটি জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। জেতার সম্ভাবনার ভিত্তিতে কেন্দ্রগুলিকে শ্রেণিবিন্যাস করে, সেই ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ তিনি দলীয়কর্মীদের দিয়েছেন।
বিহারের মোট বিধানসভা আসন ২৪৩টি। এ যাত্রায় লোকসভায় বিহারে ছোট শরিক দলগুলির আসন বাড়ায় বেশি সংখ্যক আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন এলজেপি নেতা চিরাগ পাসোয়ান, হাম দলের নেতা জিতন রাম মাঝিরা। সূত্রের মতে, দু’জনেই চল্লিশটি করে বিধানসভা আসনে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এই আবহে আজ সম্ভাব্য আসন ভাগভাগি নিয়ে বৈঠকে বসেননীতীশ ও শাহ। সূত্রের মতে, প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে, দু’দল মোট ২০১টি আসনে লড়লে নীতীশের জেডিইউ ১০১টি আসনে লড়তে পারে। সেখানে বিজেপি লড়তে পারে ১০০টি আসনে। বাকি ৪২টিআসন ভাগ করে দেওয়া হবে বাকি তিন শরিকের মধ্যে। চিরাগের এলজেপিকে ২০টি, জিতনের হাম দলকে১৫টি ও উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাকে সাতটি আসন দিতে চাইছেন অমিত শাহেরা। কিন্তু এত কম আসনে শরিক দলগুলি লড়তে রাজি হয় কি না, তা-ই এখন দেখার।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)