প্রতীকী ছবি।
এক দিকে অনেক রাজ্য যখন কোভিড টিকার মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করছে, টিকার অভাবে বহু রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার মতো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে, ঠিক সময় উঠে এল টিকা নিয়ে অন্য একটি চিত্র। কেন্দ্রের দাবি, বহু রাজ্যে টিকা নষ্ট হচ্ছে। তার মধ্যে বেশ কিছু রাজ্যে টিকা নষ্ট হওয়ার হার ৩৭ শতাংশেরও বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, টিকা নষ্ট হওয়ার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তীসগঢ়। এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে ৩৭.৩ এবং ৩০.২ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে। তার পরই রয়েছে তামিলনাড়ু (১৫.৫%), জম্মু-কাশ্মীরে(১০.৮%), মধ্যপ্রদেশে (১০.৭%)। দেখা যাচ্ছে, দেশে টিকা নষ্ট হওয়ার গড় পরিমাণ ৬%। কেন্দ্র বার বারই রাজ্যগুলোকে বলেছে, টিকা নষ্টের পরিমাণ যেন ১ শতাংশের নীচে থাকে। কিন্তু বাস্তবে রাজ্যগুলোতে সেই ছবি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা নষ্টের প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে প্রতিটি রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছিলেন টিকা নষ্ট যাতে না হয় সেই পথ খুঁজে বার করতে। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যগুলোতে টিকা নষ্টের হার বাড়ছে। দেশে যখন টিকার আকাল, এমন পরিস্থিতিতে টিকা নষ্টের যে ছবি তুলে ধরেছে কেন্দ্র তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিস্তর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
As per total vaccine doses availability with Govt on Jharkhand till today, the current Vaccine Wastage proportion is only 4.65%. Vaccination data could not be fully updated to the central Co-Win Server/ Platform due to technical difficulties/glitches & the updation is in process. https://t.co/w3QXPFnKFR pic.twitter.com/uBFJXCktei
— Office of Chief Minister, Jharkhand (@JharkhandCMO) May 26, 2021
কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। টুইট করে তিনি বলেছেন, নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে তাঁর সরকার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে টিকার ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে।শুধু তাই নয় যে পরিমাণ টিকা ঝাড়খণ্ড পেয়েছে তার ৪.৬৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। কো-উইন অ্যাপে প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য টিকাকরণের তথ্য সেখানে আপডেট করা যায়নি বলেও দাবি করেছেন হেমন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy