জমি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলার তদন্তে বুধবার দুপুরে তাঁর রাঁচীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডির তদন্তকারী দল। বিকেলে জানা গেল, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ১৫ নম্বর তফসিলের অন্তর্গত তফসিলি জাতি ও জনজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন অনুযায়ী তফসিলি জাতি বা জনজাতিভুক্ত কোনও ব্যক্তির উপরে অবমাননা, অত্যাচার বা হিংসার ঘটনায় অভিযুক্তকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা যাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, জনজাতি জনগোষ্ঠীর নেতা হেমন্ত ইডির উপর চাপ বৃদ্ধি করতেই এই পদক্ষেপ করেছেন।
আরও পড়ুন:
হেমন্তকে জমি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় জি়জ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যেই ইডির তদন্তকারী দল তাঁর রাঁচীর বাসভবনে গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে, ২০১৮ সালে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের বিরুদ্ধে অত্যাচার, শোষণ, বঞ্চনা রুখতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। ওই সংশোধনী অনুযায়ী, এই সমস্ত অভিযোগের ক্ষেত্রে বিনা তদন্তে এফআইআর নিতে হবে। অভিযুক্তের আগাম জামিনেরও কোনও সংস্থানও নেই সেই আইনে।
আরও পড়ুন:
বুধবার দুপুরে হেমন্তের বাড়িতে ইডির হাজির হওয়ার খবর পেয়েই জেএমএম সমর্থকেরা রাঁচীতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঝাড়খণ্ডের মু্খ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি তল্লাশির প্রতিবাদে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে যাওয়ার কথাও জানানো হয় জেএমএমের তরফে। বিশৃঙ্খলার আঁচ পেয়ে ঝাড়খণ্ডের সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার আর্জি জানায় ইডি। ঝাড়খণ্ড প্রশাসন সূত্রে খবর, পরিস্থিতি সামলাতে তিন সদস্যের একটি প্রশাসনিক দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের অর্থ দফতরের সচিব। রাঁচীর কাঁকে রোডে হেমন্তের বাড়ির চারপাশে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারাও।