বাঁ দিক থেকে, সীতা, হেমন্ত এবং কল্পনা। — ফাইল চিত্র।
নব্বইয়ের দশকে বিহারের লালু-রাবড়ী মডেল চালু করতে গিয়ে হোঁচট খেতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্ত সোরেন। দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করলে স্ত্রী কল্পনাকে রাঁচীর কুর্সিতে বসানোর পরিকল্পনা করেছিলেন হেমন্ত। কিন্তু দলের অন্তত চার জন বিধায়ক তাতে সরাসরি আপত্তি জানিয়েছেন। সেই ‘বিদ্রোহী’ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন হেমন্তেরই বৌদি তথা জেএমএম বিধায়ক সীতা সোরেন।
দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী। হেমন্ত সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে দুর্গাই ছিলেন শিবুর রাজনৈতিক সহকারী। বিধানসভাতেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০০৯ সালে দুর্গার মৃত্যুর পরে সক্রিয় রাজনীতিতে এসেছিলেন সীতা। রাজনীতিতে আসা ইস্তক বহুবার হেমন্তের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন তিনি। জেএমএম সূত্রের খবর, মন্ত্রী না করায় দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষুব্ধ সীতা।
পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরে ১৯৯৭ সালে লালুপ্রসাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন। সকলকে হতচকিত করে রাবড়ীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তিনি। জমি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকেও ইডি গ্রেফতার করতে পারে বলে ‘খবর’। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাতে হেমন্ত তাঁর রাঁচীর বাসভবনে শাসক জোটের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে করেন। বিধায়ক না হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী কল্পনা হাজির ছিলেন সেখানে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গরহাজির ছিলেন সীতা এবং আর এক প্রভাবশালী বিধায়ক চামরা লিন্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy