স্কুলে চলত জেহাদের প্রশিক্ষণ শিবির। অভিযোগ, ইমাম নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সেই প্রশিক্ষণে। প্রশিক্ষণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসত দুই প্রশিক্ষক। অসমের চিরাং জেলায় আরও সাত জন জেহাদিকে গ্রেফতার করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। জেহাদি সন্দেহে ইমামকে গ্রেফতার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় মানুষ। ঘেরাও করা হয় থানা। গত রাতে চিরাং জেলার বাসুগাঁওয়ের দাউকা নগর থেকে সোলেমন আলি, দিলদার আলি, নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও উখিলুদ্দিন নামে পাঁচ জন যুবককে ধরে পুলিশ। পাশাপাশি, রাজাপাড়া থেকে পুলিশ জয়নাল আবেদিন মণ্ডল ও রেজ্জাক আলি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তারা আমগুড়ি, বিজনি ও ঢালিগাঁওয়ের বাসিন্দা। জয়নাল রাজাপাড়া মসজিদের ইমাম। ইমামের গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়াতেই আজ সকালে সহস্রাধিক ব্যক্তি আমগুড়ি থানা ঘেরাও করে। শুরু হয় পথ অবরোধ। তাঁদের দাবি, শৈশব থেকে বাজপাড়ায় থাকা জয়নাল কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হতেই পারে না।
আইজি এল আর বিষ্ণোই জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে— ধর্মের কথা বলে মগজ ধোলাই, শরীর শিক্ষা এবং অস্ত্র শিক্ষা নিয়ে আমগুড়ি ও দাউখানগরে প্রশিক্ষণ চলেছে। এই দাউখা নগর থেকেই গত তিন দফায় প্রায় ১৫ জন জেহাদি ধরা পড়েছে। মিলেছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের হদিশ ও হাতে গড়া দশটি এ কে সদৃশ রাইফেল, দুটি বন্দুক, তিনটি রিভলভার, দুটি পিস্তল-সহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র। আমগুড়ির প্রশিক্ষণ শিবির বসত আমগুলি হাই স্কুলে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দুজন প্রশিক্ষক এসে প্রশিক্ষণ দিতেন। বিষ্ণোই বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ওই দুই প্রশিক্ষকের নাম ও ঠিকানা আমরা পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সাহায্য নিয়ে তাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা হবে।’’