ছবি: পিটিআই।
পর্যটকের দেখা নেই ভূস্বর্গে। ধুঁকতে থাকা জম্মু ও কাশ্মীর পর্যটন উন্নয়ন নিগম (জেকেটিডিসি) এ বার তাদের বাছাই করা কিছু পর্যটক আবাস দেশের নামী বাণিজ্যিক সংস্থাকে দীর্ঘমেয়াদে ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। তাতেও লাভ কিছু হবে কি না, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
অগস্টের ৫ তারিখে নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেয়। গোটা রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। তার পর থেকে গোটা উপত্যকাকে যে ভাবে কার্ফু ও বিধিনিষেধের জালে ঢেকে ফেলা হয়েছে, তাতে লাটে উঠেছে পর্যটন। বেসরকারি হোটেল ও হাউস বোটগুলি ফাঁকা। সরকারি জেকেটিডিসি-র বাংলো ও অতিথি নিবাসগুলিরও একই হাল। নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসগর আলি জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে বাছাই করা ২০টি পর্যটক আবাস চার মাসের জন্য কর্পোরেট সংস্থাকে ভাড়া দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমডি জানান, নামী বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির কাছে থেকে দরপত্র চাওয়া হচ্ছে। চার মাস তারা নিগমের অতিথি নিবাসগুলিতে নিজেদের অতিথিদের রাখতে পারে। চাইলে কনফারেন্সও করতে পারে। এককালীন চার মাস ভাড়া নিলে অনেক ছাড় পাবে সংস্থা।
এই সিদ্ধান্তে কতটা সাড়া পড়েছে, বা আদৌ সাড়া পড়েছে কি না, খোঁজ নিয়েও সে বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সাড়া যে খুব মিলবে আশাও করছেন না পর্যটন কর্তারা। কারণ, এখনও কাশ্মীরে জনজীবন স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী মুড়ে রেখেছে উপত্যকাকে। ইন্টারনেট না থাকায় অনলাইন যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন। এটিএমে অধিকাংশ সময় টাকা মিলছে না। দোকান-বাজার খোলেনি। এখন কোনও বাণিজ্যিক সংস্থাই যে সফর বা কর্পোরেট কনফারেন্সের জন্য কাশ্মীরকে বাছবে না, সেটাই স্বাভাবিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy