হামলার দিন। ফাইল চিত্র।
জেএনইউয়ে দুষ্কৃতী-তাণ্ডবের এক মাস পরেও কাউকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ দিল্লি পুলিশ। অথচ শাহিন বাগে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত কপিল গুজ্জরের মুছে দেওয়া ফেসবুক পোস্টও খুঁজে বার করে তার সঙ্গে আপের যোগের কথা চটজলদি জানিয়ে দিয়েছে। ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ুয়াদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে জামিয়ার লাইব্রেরিতে। তাই রাজনৈতিক রং দেখে সক্রিয় হওয়া ও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ উঠছে অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।
জেএনইউ-তাণ্ডবে অভিযোগের আঙুল ওঠে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন এবিভিপি এবং বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বহিরাগতদের দিকে। আক্রান্ত পড়ুয়াদের অভিযোগ, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রীতিমতো ছক কষে আক্রমণ করা হয়েছিল তাঁদের।
জেএনইউএসইউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকেত মুনের ক্ষোভ, ‘‘ওই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঐশী-সহ আক্রান্তদের অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। অথচ এক মাসেও হামলাকারীদের কাউকে ধরতে পারল না পুলিশ। অথচ তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, বিশেষ অপরাধদমন শাখা দ্রুত এর তদন্ত করবে।’’ কোমল শর্মা-সহ যে এবিভিপি সদস্যদের সে দিন লাঠি হাতে ঘোরার ছবি পরে ভাইরাল হয়েছিল কিংবা ‘চক্রান্তের মাধ্যম’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খোঁজ মিলেছিল যাদের, এত দিনে তাদের টিকিও পেল না পুলিশ! এটা কী ভাবে সম্ভব— উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy