Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Joshimath land subsidence

ঘরছাড়াদের ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ শীত! জোশীমঠে গরম পোশাক, হিটার বিলি করছে সরকার

জোশীমঠের ভূমি অবনমন কবলিত যে সব বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শীতের মোকাবিলার জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির যন্ত্র বা হিটার, গরম পোশাক দিচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার।

জোশীমঠে ঘরছাড়া বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে শীত।

জোশীমঠে ঘরছাড়া বাসিন্দাদের ভোগাচ্ছে শীত। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
দেহরাদূন শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:৫৩
Share: Save:

একে ভূমি অবনমনের জেরে আচমকা এলোমেলো হয়ে গিয়েছে সাজানো জীবন। ভিটেমাটি ছেড়ে রাতারাতি বেরিয়ে আসতে হয়েছে অনিশ্চিতের পথে। তার উপর জোশীমঠের বাসিন্দাদের ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে উঠেছে শীত। কনকনে ঠান্ডায় কাবু বাসিন্দারা। সরকারের তরফে তাঁদের গরম পোশাক, তাপমাত্রা বৃদ্ধির যন্ত্র (হিটার) দেওয়া শুরু হয়েছে।

জোশীমঠের ভূমি অবনমন কবলিত যে সমস্ত বাসিন্দাকে ইতিমধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁদের আবহাওয়ার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধির যন্ত্র বা হিটার, গরম পোশাক এবং গরম জলের বোতল দিচ্ছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ইতিমধ্যে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত জোশীমঠের ২৭৪টি পরিবারের মোট ৯২১ সদস্যকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩১টি পরিবার হয় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন, নয়তো আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে সাময়িক ভাবে থাকতে শুরু করেছেন।

রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, ২৪২টি ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ত্রাণ হিসাবে বিলি করা হয়েছে।

জোশীমঠে এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য জোশীমঠে ৬৫০টি ঘর এবং পিপলকোটিতে ৪৯১টি ঘরের বন্দোবস্ত রয়েছে। এই ঘরগুলিতে যথাক্রমে ২ হাজার ৯১৯ জন এবং ২ হাজার ২০৫ জন থাকতে পারবেন।

এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে হিটার পেয়েছে ৭৬টি পরিবার। গরম পোশাক পেয়েছেন ১১০ জন। সেই সঙ্গে গরম জলের বোতল দেওয়া হয়েছে ১৭৫ জনকে। এ ছাড়া, লেপ, কম্বল, শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।

উত্তরাখণ্ড-সহ সমগ্র উত্তর ভারতেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে চলতি মরসুমে। জোশীমঠে বরফও পড়তে দেখা গিয়েছে। ঘরছাড়া বাসিন্দাদের ভোগান্তি আরও বেড়েছে এই পারদপতনে। কষ্ট লাঘব করতে সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণসামগ্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE