প্রতীকী ছবি
মাদ্রাজ হাই কোর্ট থেকে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেঘালয়ে বদলির প্রশ্ন এ বার সংসদেও উঠে এল।
লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বলেন, এই ভাবে বদলি মেনে নেওয়া যায় না। কলেজিয়ামের কাছে তাঁর অনুরোধ, এই সিদ্ধান্ত যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়। কল্যাণের বক্তব্য, শুধু নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করার জন্যই বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করা হয়েছে। লোকসভায় হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেতন ও চাকরির শর্ত সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন, এতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই হারাচ্ছেন না, কিন্তু এর ফলে বিচারব্যবস্থারই লোকসান।
বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির ক্ষেত্রে কল্যাণ মেনে নিয়েছেন, এ বিষয়ে কেন্দ্রের কিছু করার ছিল না। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম বদলির সুপারিশ করে এবং কেন্দ্র তা কার্যকর করেছে। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামের বারবার সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। কল্যাণ বলেন, জয়তোষ মজুমদার, অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজা বসু চৌধুরী, শাক্য সেনের নাম কলেজিয়াম একাধিক বার সুপারিশ করা সত্ত্বেও সরকার তাঁদের নিয়োগ করেনি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের নাম সুপারিশ করা হলেই রকেটের গতিতে তাঁরা বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন।।
আজ কংগ্রেসের তরফে শশী তারুর বিচারব্যবস্থার মধ্যে সহানুভূতির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিচারব্যবস্থায় কেন্দ্রের ‘প্রভাব খাটানো’ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তারুর বলেন, ইশরাত জাহান, সোহরাবুদ্দিন মামলায় বর্তমান শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন বলে অন্তত দুই বিচারপতির উপরে কোপ পড়েছে। উল্টো দিকে, এক প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা এতে আপত্তি তুললে তারুর বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ ভাঙায় গুন্ডাগিরিকে আইনি সিলমোহর দিয়েছে। উগ্র সংখ্যাগুরুবাদে রাশ টানতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy