পাকিস্তানে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন জ্যোতি মলহোত্রা। এর জন্য পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ‘হ্যান্ডলার’-এর কাছে সাহায্যও চেয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত জ্যোতির হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে এমনই তথ্য মিলেছে বলে খবর তদন্তকারীদের একটি সূত্রে।
পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আলি হাসান নামে এক যুবকের সঙ্গে হোয়াটস্অ্যাপে প্রায়ই কথা বলতেন জ্যোতি। এই আলি আইএসআই-এর গুপ্তচর বলে দাবি তদন্তকারীদের সূত্রের। ওই সূত্রের বক্তব্য, দু’জনের মধ্যে অনেক কথা হত। তার মধ্যেই এক বার হাসানের কাছে সাহায্য চেয়ে জ্যোতি লিখেছিলেন, ‘‘গেট মি ম্যারেড ইন পাকিস্তান!’’ বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়— ‘আমি পাকিস্তানে বিয়ে করতে চাই’। তদন্তকারীদের সূত্রের মত, এর থেকেই বোঝা যায়, পাকিস্তানের সঙ্গে জ্যোতির এক ধরনের আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে অন্তত দু’বার গিয়েছিলেন জ্যোতি। প্রথম বার গিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। দ্বিতীয় বার গিয়েছিলেন পহেলগাঁও কাণ্ডের ঠিক আগে আগে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় এসেছিলেন জ্যোতি। কলকাতায় থাকার সময় একটি ভিডিয়োয় জানিয়েছিলেন, তিনি লাহৌর যাবেন। গিয়েওছিলেন। তাঁর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে থাকা কিছু ভিডিয়ো ঘেঁটে দেখা গিয়েছে যে, লাহৌরের আনারকলি বাজার, পাক পঞ্জাবের কটাস রাজ মন্দিরে গিয়েছিলেন জ্যোতি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতির চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এখন তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। দুবাই থেকে টাকাপয়সার লেনদেন হয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কারা, কেন জ্যোতিকে টাকা পাঠিয়েছেন, তার সঙ্গে পাক-গুপ্তচরদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা-ই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।