বুধবার বিজেপির দফতরে জ্যোতিরাদিত্য।
প্রত্যাশা মতোই বিজেপিতে যোগ দিয়েই রাজ্যসভার টিকিট পেয়ে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য। তার কিছু ক্ষণ পরই আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে বিজেপি। তাতে জ্যোতিরাদিত্যকে মধ্যপ্রদেশ থেকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
দলে ক্রমশ গুরুত্ব কমে যাওয়া এবং রাজ্যসভার প্রার্থীপদ না পাওয়াতেই কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য বেরিয়ে আসেন বলে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। নিজে দল ছাড়ার পাশাপাশি, মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের ২১ জন বিদ্রোহী বিধায়ককেও ভাঙিয়ে আনেন তিনি। তবে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দিলেও, ওই বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে দোলাচল রয়েছে। কমলনাথের সরকারের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে। তার মধ্যেই জ্যোতিরাদিত্যকে রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি।
এ নিয়ে কংগ্রেসের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই এ দিন নিজের একটি পুরনো ছবি রিটুইট করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব যখন তুঙ্গে, সেইসময় কমলনাথ এবং জ্যোতিরাদিত্যকে নিয়ে ওই ছবিটি তোলেন রাহুল। লিও টলস্টয়কে উদ্ধৃত করে সেই সময় রাহুল লেখেন, ‘‘ধৈর্য এবং সময়ই সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধা।’’ জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাহুল কেন সেই ছবিটি রিটুইট করলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
BJP announces the names of party's candidates for the upcoming election to the Rajya Sabha. https://t.co/sQItPuDotq pic.twitter.com/FAjziadv2Q
— ANI (@ANI) March 11, 2020
বিজেপির প্রার্থীতালিকা।
আরও পড়ুন: সেই কংগ্রেস আর নেই, বিজেপিতে যোগ দিয়ে সিন্ধিয়া
আরও পড়ুন: বিদ্রোহীদের ঘিরে নাটক দিনভর, অঙ্ক নিয়ে সংশয় মধ্যপ্রদেশে
এ দিন বিজেপির তরফে যে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে অসম থেকে রাজ্যসভায় তাদের প্রার্থী হচ্ছেন ভুবনেশ্বর কলিতা। বিহার থেকে বিবেক ঠাকুরের নাম মনোনীত করা হয়েছে। গুজরাত থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে অভয় ভরদ্বাজকে। ঝাড়খণ্ড থেকে দীপক প্রকাশ এবং মণিপুর থেকে লিয়েসেম্বা মহারাজাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন উদয়না রাজে ভোঁসলে। রাজস্থান থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে রাজেন্দ্র গহলৌতকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy