কেন্দ্রীয় বাজেটে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাতে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার ক্ষুব্ধ মানুষ বিজেপিকে ত্রিশটি আসনেও জেতাবে না বলে আজ লোকসভায় মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘দিল্লির হার দেখে ভিতরে ভিতরে কেঁপে গিয়েছে তৃণমূল।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, গত কয়েক বছরের মতো এ বারও বাজেটে বঞ্চিত হয়েছে বাংলা। আজ লোকসভায় বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘‘রাজ্যের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা হয়নি। বাংলার বকেয়া অর্থ দেওয়া হচ্ছে না। একশো দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় রাজ্যের হকের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।।’’ তাঁর দাবি, যে ভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তাতে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে বিজেপি ত্রিশটি আসনও পাবে না। রাজ্যসভায়ও বাজেট নিয়ে আলোচনায় বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তৃণমূলের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তাই এখন আর্থিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গকে অবরুদ্ধ করে রাখার কৌশল নিয়েছে কেন্দ্র। এই অবরোধ যত বাড়বে তত প্রবল ভাবে জবাব দেবেন বাংলার মানুষ।’’ আজ ঋতব্রত বক্তব্য রাখার সময়ে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগে সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাজেটের পরে কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। শেয়ার বাজারের সূচক উপরে ওঠার পরিবর্তে উল্টে নিম্মমুখী। আজ বাজেট বক্তৃতায় শেয়ার বাজারের পতনের বিষয়টি তুলে ধরেন কল্যাণ। বলেন, ‘‘বাজেট কেমন হয়েছে তা বোঝার একটি অন্যতম সূচক হল শেয়ার বাজার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু বাজেটের এক সপ্তাহ পরেও শেয়ার বাজারের সূচক কার্যত স্থির বা নিম্নগামী। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এই বাজেট জনস্বার্থবিরোধী।’’ পাশাপাশি, বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির পরিমাণ বাড়িয়ে একশো শতাংশ করা অথচ স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি না কমানোর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)