Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Kangana Ranaut

এনকাউন্টার করে দিন, হাথরস নিয়ে যোগীকে আর্জি কঙ্গনার

উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা এবং গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি কঙ্গনা।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৩৯
Share: Save:

হাথরস কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা দেশ। আইনি পথে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি উঠছে সর্বত্র। কিন্তু সে সবে না গিয়ে, অভিযুক্তদের সরাসরি এনকাউন্টার করে মেরে ফেলার দাবি জানালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। গতবছর হায়দরাবাদে ঘটে যাওয়া পশু চিকিৎসক ধর্ষণকাণ্ডের তুলনা টেনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের গুলিতে অভিযুক্তদের ঘটনা নিয়ে সেইসময় কম বিতর্ক হয়নি। অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করায় তাদের গুলি করা হয় বলে সেইসময় দাবি করে সেখানকার পুলিশ। যদিও অনেকের দাবি ছিল, ভুয়ো এনকাউন্টারে মেরে ফেলা হয়েছে অভিযুক্তদের। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে কঙ্গনা লেখেন, ‘‘যোগী আদিত্যনাথজির উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। প্রিয়ঙ্কা রেড্ডিকে তাঁর ধর্ষকরা যেখানে ধর্ষণ করেছিল এবং জীবন্ত জ্বালিয়ে দিয়েছিল, সেখানেই তাদের গুলি করে মারা হয়। এ ক্ষেত্রেও সেরকমই সংবেদনশীল, স্বতঃস্ফূর্ত এবং আবেগতাড়িত বিচার চাই আমরা।’’

গতকালও টুইটারে একই দাবি তুলেছিলেন কঙ্গনা। প্রকাশ্যে অভিযুক্তদের গুলি করে মারার দাবি তুলে তিনি লেখেন, ‘‘ধর্ষকগুলোকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হোক। প্রতি বছর যে ভাবে ধর্ষণের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, তার সমাধান আর কীই বা হতে পারে? আজকের দিনটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখের এবং লজ্জার। এ আমাদেরই লজ্জা। আমাদের জন্যই দেশের মেয়েদের এই হার।’’

আরও পড়ুন: হাথরস ধর্ষিতার দেহ মধ্যরাতে জোর করে পুড়িয়ে দিল পুলিশ​

গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের এক দলিত তরুণীকে চার যুবক গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর। ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তার পর গত ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন ওই নির্যাতিতা। শেষ মেশ মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর লড়াই থেমে যায়।

আরও পড়ুন: দেশে রোজ ৮৭টি ধর্ষণ! বেড়েছে শিশু ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনাও​

গোটা ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এমনকি পরিবারের হাত থেকে কার্যত মেয়েটির দেহ যে ভাবে ছিনিয়ে নিয়ে সাত তাড়াতাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে সেই বিষয়গুলি সযত্নে এড়িয়েই গিয়েছেন কঙ্গনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE