তার খোঁজে হন্যে পুলিশ। মাথার দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা। এ বার কার্যত পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে পালিয়ে গেল কানপুরে ৮ পুলিশকর্মী-অফিসার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। মঙ্গলবার দুপুরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে দিল্লির অদূরে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে তার দু’জন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযানের ঠিক আগেই পালিয়ে যায় ধুরন্ধর বিকাশ। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, বিকাশ দুবে সম্পর্কে রাজ্যের ডিআইজি অনন্ত দেও-কে চিঠি দিয়ে সাবধান করেছিলেন ঘটনার দিন নিহত ডিএসপি দেবেন্দ্র মিশ্র। কিন্তু ডিআইজি তাতে গুরুত্ব দেননি। এই অনন্ত দেওয়ের বিরুদ্ধেও বিকাশ দুবেকে তথ্য পাচারের অভিযোগ রয়েছে এবং তাঁকে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। অন্য দিকে বিকাশের মাথার দাম ফের আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিকাশকে ধরতে গিয়ে গুলিবৃষ্টিতে নিহত হন কানপুর পুলিশের ৮ কর্মী-অফিসার। সেই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা গ্যাংস্টার। তার এক শাগরেদকে গ্রেফতার করার পর উঠে আসে, পুলিশের অভ্যন্তরেই কেউ বিকাশকে অভিযানের খবর দিয়েছিল। ঘটনার পর থেকেই বিকাশকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গড়ে চলছে অভিযান। তার মধ্যেই গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, ফরিদাবাদের একটি হোটেলে রয়েছে বিকাশ। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে ওই হোটেলে হানা দেয় পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে যায় বিকাশ।
কিন্তু পুলিশ কী ভাবে জানতে পারল যে, বিকাশ ছিল ওই হোটেলে। দু’জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি হোটেলের ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ম্যানেজার জানান, কিছুক্ষণ আগেই এক ব্যক্তি হোটেল ছেড়েছেন। তার পর বিভিন্ন সূত্রে এবং হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, পালিয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তিই ছিল বিকাশ দুবে। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজেও গ্যাংস্টারের ছবি ধরা পড়েছে। তবে ওই ছবিতে বিকাশ মাস্ক পরে রয়েছে। ওই ব্যক্তিই বিকাশ বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। অন্য দিকে হোটেল থেকে গ্রেফতার দু’জনের মধ্যে অঙ্কুর নামে এক ব্যক্তি বিকাশকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করেছিল। অন্য জন প্রভাত। সে বিকাশের গ্রামেরই বাসিন্দা।