Advertisement
E-Paper

‘আমরা গান্ধীর রামের পুজো করি’! অযোধ্যার রাম কেন পছন্দ নয়, ব্যাখ্যা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর

জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ‘রামধুন’ বা রামের ভজনকে জনপ্রিয় করেছিলেন। দেশে লবন সত্যাগ্রহের সময় তাঁর গাওয়া ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম পতিত পাবন সীতা রাম’ ভজনটি লোকের মুখে মুখে শোনা যেত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৫
অযোধ্যার রামলালার বিগ্রহ।

অযোধ্যার রামলালার বিগ্রহ। —পিটিআই।

অযোধ্যার রামলালাকে কেন পছন্দ নয়, তার ব্যাখ্যা দিলেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী। রামমন্দিরে শিশু রামের বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিজেপির রামের পুজো করি না। আমরা গান্ধীর রামের অর্চনা করি।’’

দেশে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে তিনটি রাজ্য— তেলেঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটকে। সোমবার রাম নিয়ে গান্ধীজি সংক্রান্ত মন্তব্যটি করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কংগ্রেস গান্ধীজির আদর্শ মানে। ‘জাতির জনক’ গান্ধীজিই রামের ভজন বা ‘রামধুন’কে জনপ্রিয় করেছিলেন দেশে। লবন সত্যাগ্রহের সময় তাঁর গাওয়া ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম পতিত পাবন সীতা রাম’ ভজনটি লোকের মুখে মুখে ফিরত। যদিও গান্ধী সেই রামের ভজনের শব্দ বদলে ধর্মনিরপেক্ষ করে নিয়েছিলেন। গানের দ্বিতীয় ছত্রে তিনি জুড়ে দিয়েছিলেন ঈশ্বর এবং আল্লার নাম। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী গান্ধীর সেই রামেরই প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনের দিনে।

সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘আমরা বিজেপির রামে বিশ্বাসী নই। কারণ ওঁরা লক্ষ্মণ এবং সীতার থেকে রামকে আলাদা করে দেয়। লক্ষ্মণ এবং সীতা ছাড়া রাম হয় না।’’

সোমবার রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন রাম ৫০০ বছর পর নিজের ঘরে ফিরলেন। তার পাল্টা সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘‘রাম শুধু অযোধ্যাতে বিরাজ করতে যাবেন কেন? তিনি তো সর্বত্র বিরাজমান।’’ এর পরেই গান্ধীর বলে যাওয়া রামের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।

Ayodhya Ram Mandir Siddaramaiah Karnataka
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy