Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
bengaluru

Karanataka BJP govt.: ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল কার্যকর করতে অধ্যাদেশ জারি করল কর্নাটকের বিজেপি সরকার

সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেসের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ছড়িয়ে দিতেই বোম্মাই সরকার ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল পাশ করাল।

ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২২ ১৮:৫২
Share: Save:

আরও একটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে পাশ হল ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল। এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করল কর্নাটকের বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ছড়াতেই এই ‘রাজনৈতিক’ পদক্ষেপ, অভিযোগ বিরোধীদের।

আচমকা নয়, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই আগেই ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে অধ্যাদেশ আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ সেই মতো অধ্যাদেশ এনে রাজ্যে ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল পাস করিয়ে নিল রাজ্য সরকার। বিধানসভা ও বিধান পরিষদ না চলায় অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত বলে সরকার সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, ২০২১-এর ২৩ ডিসেম্বর কর্নাটক বিধানসভায় এই বিল পাস হয়। কিন্তু বিধান পরিষদে বিজেপির প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায়, সেখানে আটকে যায়। তবে এখন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এই মুহূর্তে কর্নাটকের দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির। যদিও বিধানসভা বা বিধান পরিষদে বিল পেশের প্রয়োজন হল না, অধ্যাদেশ এনে পাশ করিয়ে নেওয়া হল এই বিতর্কিত বিল।

সরকারের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িক ভাবধারা ছড়িয়ে দিতেই বোম্মাই সরকার ধর্মান্তরণ বিরোধী বিল এ বাবে পাশ করাল। একে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেও অভিহিত করেছেন কংগ্রেস নেতারা। এই আইনে প্ররোচনা কিংবা শারীরিক শক্তি প্রয়োগে কারও ধর্ম পরিবর্তন বেআইনি। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে আগেই এই আইন পাস হয়ে গিয়েছে। এ বার বিজেপি শাসিত দক্ষিণ ভারতের একমাত্র রাজ্যেও পাস হল ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

bengaluru BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE