Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ভারত ছাড়ো-য় তোপ মোদীকেই

২০১৭ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দুর্নীতি, দারিদ্র, বেকারি, অশিক্ষা, অপুষ্টি দূর করতে সঙ্কল্পের কথা বলেন মোদী। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার কথা মুখেই আনলেন না।

লোকসভায় সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

লোকসভায় সনিয়া গাঁধী। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১২:০০
Share: Save:

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে কংগ্রেস থেকে ‘ছিনিয়ে নিতে’ বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই শোনালেন ‘নতুন ভারত’ গড়তে তাঁর সঙ্কল্পের কথা। এ সব কথা অবশ্য আগে বলেছেন রেডিওতে তাঁর ‘মনের কথায়’, আজ বললেন বিজ্ঞাপনেও। ২০১৭ থেকে ২০২২, ভারত ছাড়ো ও স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যে কেমন হবে ‘নতুন ভারত’— সংসদেও আজ বোঝাতে চাইলেন মোদী। তবে থমকে গেলেন সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে। আর সেখানেই তাঁকে তুলোধনা করলেন বিরোধীরা। নেতৃত্বে সনিয়া গাঁধীই।

২০১৭ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দুর্নীতি, দারিদ্র, বেকারি, অশিক্ষা, অপুষ্টি দূর করতে সঙ্কল্পের কথা বলেন মোদী। কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার কথা মুখেই আনলেন না। আর লোকসভায় মোদীর পরেই বলতে উঠে সনিয়া গাঁধী নাম না করে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সনিয়া ঘুরিয়ে আক্রমণ করলেন আরএসএসকেও। সনিয়া টেনে আনলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের কংগ্রেসের ভূমিকা। বুঝিয়ে দিলেন, সে সময় বিজেপি না থাকলেও তাদের মতাদর্শের আরএসএস ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে তাদের কোনও অবদানই নেই। মোদী এ দিন জওহরলাল নেহরুর নামও নেননি। কিন্তু সনিয়া বলেন, গাঁধীর আহ্বানে ‘ভারত ছাড়ো’ নিয়ে নেহরু ও সর্দার পটেল যে প্রস্তাব করেছিলেন, সেটিই কংগ্রেস গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন: অপহরণের ধারা জুড়ল, ধৃত বিকাশ

সনিয়া বুঝিয়ে দেন, মোদী রাজনীতির উদ্দেশ্য নিয়ে সর্দার পটেলকে ব্যবহার করতে চাইলেও তিনিও ছিলেন কংগ্রেসেরই নেতা। এর পরে অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে মোদীকে একহাত নেন সনিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রীর মতে, ‘ভারত ছাড়ো’-র ৭৫ বছরে পৌঁছে মানুষের মনে এখন শঙ্কা অনেক। ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির মেঘ। অসহমত, বিতর্ক, ভিন্ন বিচারের সুযোগ কমছে। অন্ধকারের শক্তি দ্রুত গ্রাস করছে, স্বাধীন পরিবেশে ছড়াচ্ছে ভয়, গণতন্ত্রের ভিত নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। সনিয়ার যুক্তি, দেশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে এই দমনকারী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।

সনিয়ার সুরে তৃণমূলের সুগত বসুও বলেন, ঘৃণার বিষ ছড়াবেন না। আর সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির আবেদন, ভারতকে হিন্দু পাকিস্তান বানাবেন না। মোদী চুপ থাকলেও পরে বিজেপি নেতারা বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধী তো নিজেই বিদেশিনি। তিনিই বা কী জানেন ভারতের স্বাধীনতার মর্ম?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE