ছবি: পিটিআই।
কর্নাটকে এইচডি কুমারস্বামীর সরকারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি অব্যাহত। দিনভর টানাপড়েনের পর সোমবার মধ্যরাত পেরিয়ে স্পিকার রমেশ কুমার জানিয়ে দিয়েছেন, আগামিকাল সন্ধ্যা ৬ টায় আস্থাভোট।
তার আগে অবশ্য আজ সারাদিন ধরেই টানাপড়েন চলেছে, গত কয়েকদিনের মতোই। স্পিকার প্রথমে জানান, আজ আস্থাভোটের জন্য রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেও তিনি রাজি। তবে কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়কেরা দাবি করেন, আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে কর্নাটক মামলার শুনানির পরেই ভোটাভুটি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। পরে আস্থাভোটের সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলান স্পিকারও।
বিধানসভায় হইচইয়ের মধ্যে বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছিলেন, আজই ভোটাভুটি করতে হবে। তার পর রটে যায়, সংখ্যা জোগাড় করতে না পেরে ইস্তফা দিতে পারেন কুমারস্বামী। সন্ধেয় তিনি রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করতে পারেন, এমন খবরও ছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে যাননি। রাতে আবার বিধানসভায় একটি চিঠি তুলে ধরেন কুমারস্বামী। চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রীর জাল ইস্তফাপত্র!
এ দিন দু’দফায় স্পিকারের সঙ্গে দেখাও করেন কুমারস্বামী। আস্থাভোটের জন্য আরও সময় দিতে অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন স্পিকার। বক্তাদের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিতেও বলেন তিনি। তবে শাসক জোটের বিধায়কেরা স্পিকারের প্রস্তাবে রাজি হননি।
সরকার বাঁচানোর চেষ্টায় সোমবারও সারাদিনই তৎপর ছিলেন কুমারস্বামী। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ফিরে আসতে অনুরোধ করেন তিনি। সাড়া মেলেনি। কংগ্রেসকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে সরকার বাঁচানো যায় কি না, সেই চেষ্টাও হয়েছে। জোট সরকারের অন্যতম কারিগর ডি কে শিবকুমার দুপুরে জানান, কংগ্রেসের কাউকে সরকারের দায়িত্ব ছাড়তে রাজি কুমারস্বামী। তবে এ নিয়ে কুমারস্বামীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রীকে আজ কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন মায়াবতী। গত কালই কর্নাটকের একমাত্র বিএসপি বিধায়ক জানিয়েছিলেন, হাইকম্যান্ডের নির্দেশে ভোটদানে বিরত থাকবেন তিনি। কিন্তু আজ মায়াবতী তাঁর দলের বিধায়ককে কুমারস্বামীর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে শিবকুমার কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেন, জোট সরকারকে সমর্থন না করলে তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হবে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy