আইপিএলজয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিজয়োৎসব তাঁর সরকার আয়োজন করেনি। ডাকা হয়েছিল বলেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুর চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে পদপিষ্টকাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়ে এই ব্যাখ্যাই দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
বিপর্যয়ের ঘটনায় সিদ্দামাইয়ার সরকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ এসেছিলেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করিনি। রাজ্যপালও সেখানে যাচ্ছেন বলে আমাকে জানানো হয়েছিল। আমি শুধু সেখানে গিয়েছিলাম। এর বেশি আমি কিছুই জানতাম না। আমাকে স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’
ঘটনার দিন চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামের অদূরে বিধান সৌধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)-র খেলোয়াড়দের সম্মান জানানোর অনুষ্ঠানে ছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তিনিই খেলোয়াড়দের সম্মান জানিয়েছিলেন। বৃষ্টি নেমে যাওয়ায় ওই অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়। এর পর বিরাট কোহলিরা বাসে করে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের দিকে রওনা হন। পদপিষ্টের ঘটনাটি সেই সময়েই ঘটে। ঘটনার পরেই চিন্নাস্বামীর মাঠে আইপিএল ট্রফি নিয়ে উদ্যাপন করেন কোহলিরা। ঘটনাচক্রে সেখানে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার ছিলেন।
ওই দুর্ঘটনায় রাজ্যের সরকারকে কর্নাটক হাই কোর্ট ন’দফা প্রশ্ন করেছে। হাই কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় কার্যনির্বাহী প্রধান বিচারপতি ভি কমলেশ্বর রাও ও বিচারপতি সি এম জোশীর বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছে, বিজয়োৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত কে বা কারা নিয়েছিলেন? কী ভাবে এবং কখন? অনুষ্ঠান আয়োজনে কি কোনও অনুমতি চাওয়া হয়েছিল? কোনও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অথবা এই ধরনের উৎসবে ৫০ হাজার বা তার বেশি লোকের ভিড় সামাল দিতে কর্মপদ্ধতির আদর্শ বিধি (এসওপি) প্রণয়ন কি হয়েছে? ১০ জুনের মধ্যে প্রশ্নগুলির জবাব চাওয়া হয়েছে।