Advertisement
E-Paper

দেবগৌড়াকে ফোন মমতার

থা বলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৮ ০৪:৪৫
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কর্নাটকে বিজেপি জিতছে, এমন পরিস্থিতি দেখে মঙ্গলবার সকালে টুইট করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেস এবং দেবগৌড়ার দল জেডিএস একসঙ্গে থাকলে ফল অন্য রকম হত। দুপুরের পরেই অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। কংগ্রেস এবং জেডিএস এক হলে বিজেপি বিরোধী সরকার গড়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়, বুঝে দেবগৌড়াকে সরাসরি ফোন করেন মমতা। কথা বলেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও।

তৃণমূল নেত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, তিনি এ দিন দেবগৌড়াকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তিনি যেন বিজেপি-র হাত কিছুতেই না ধরেন। মমতার বক্তব্য, দেবগৌড়া সনিয়া গাঁধীর প্রস্তাবকে সমর্থন করলে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসকে নিয়ে এক জায়গায় আসতে পারবে। তবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব হবে। আর গুলাম নবিকে এ দিন মমতা বলেছেন, আরও আগে জোট করলে ভাল হত। যা-ই হোক, এখন দেরি করেও যে কংগ্রেস উদ্যোগী হয়েছে, সেটা ভাল।

বস্তুত, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে নিয়ে ‘ফেডেরাল ফ্রন্ট’ গড়তে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছেন মমতা। এ দিনও তিনি নবান্নে বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্যের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। যে জাতীয় দলই হোক না কেন, তাদের অতি অবশ্যই আঞ্চলিক ক্ষেত্রে মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আমি মনে করি, কংগ্রেস ও বিজেপি কারওরই এটা ভাবা উচিত নয় যে, আঞ্চলিক দলগুলি খুব ‘ক্যাজুয়াল’। আসলে তারাই কিন্তু মাঠে নেমে বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়িত করছে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতি তৈরি করে। রাজ্য সরকারগুলি সেই নীতি এবং প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করে। সব জাতীয় দলের উচিত আঞ্চলিক দলগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা।’’

আরও পড়ুন:
ভাবাচ্ছেন মোদীর ঘনিষ্ঠ ভাজুভাই
বন্ধ হল বাজনা, উধাও লাড্ডুও

Deve Gowda Karnataka Election 2018 Mamata Banerjee
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy