ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে বেঙ্গালুরুর পুলিশ ও পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানে রাশ টানল কর্নাটক হাইকোর্ট। ওই উচ্ছেদ অভিযানে আজ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, কী কারণে, কোন আইনে বস্তির ঘরগুলি ভাঙা হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ ও পুরসভার থেকে বিস্তৃত রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্নানা আগ্রহরা, দেবরাবিসানাহাল্লি, কুন্ডলাহাল্লি, বেলান্দুর এলাকায় জোর করে বস্তির কয়েকশো ঘর ভেঙেছে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকা (বিবিএমপি) ও পুলিশ।
প্রশাসনের দাবি, ওই বস্তিগুলিতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা বসবাস করছে। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশি উচ্ছেদের নামে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে আসা কয়েক হাজার শ্রমিককে ঘরছাড়া করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করে পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলেও তাতে আগ্রহ দেখায়নি বেঙ্গালুরুর পুলিশ। কারণ, পুলিশকর্তারা যুক্তি দিচ্ছেন, পরিচয়পত্রের তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং তাঁদের অভিযোগ, অতীতে এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের থেকে তারা সহযোগিতাও পাননি।
এই পরিস্থিতিতে পুলিশ ও পুরসভার উচ্ছেদ অভিযানকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। বুধবার আদালতের রায়ে ভিন্ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের সাময়িক স্বস্তি মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy