Advertisement
E-Paper

জমি দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তিতে সিদ্দারামাইয়া, রাজ্যপালের নির্দেশই বহাল রাখল কর্নাটক হাই কোর্ট

মাইসুরু নগরোন্নন নিগমের (মুডা) দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ওই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৫
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। —ফাইল চিত্র।

জমি দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটকের রাজ্যপাল থবরচাঁদ গহলৌত তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অনুমোদন দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের সেই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ করে কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আর্জি মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। রাজ্যপালের নির্দেশই বহাল থাকল হাই কোর্টের একক বেঞ্চে।

মাইসুরু নগরোন্নন নিগম (মুডা) দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর। জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সূত্র ধরেই সিদ্দারামাইয়ার নাম জড়িয়ে যায় এই মামলায়। মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় স্ত্রীর নামে ১৪টি জমি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের সেই সম্মতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। গত ১৯ অগস্ট থেকে হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের একক বেঞ্চে ছ’বার শুনানি হয় মামলার। ১২ সেপ্টেম্বর মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাই কোর্ট। মঙ্গলবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, সাধারণ ভাবে মন্ত্রিসভার পরামর্শ নিয়ে কাজ করাই রাজ্যপালের কর্তব্য। তবে ব্যতিক্রমী কোনও পরিস্থিতিতে তিনি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রেও ঘটনাটি একটি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি হিসাবেই ব্যাখ্যা করছে বিচারপতি নাগপ্রসন্নের একক বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী এবং শ্যালকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্নেহময়ী কৃষ্ণ নামে এক সমাজকর্মী। তাতে বলা হয়েছিল ‘মুডা’র জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। জেলাশাসক, ভূমি দফতরের আধিকারিকের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালকও সেই দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। স্নেহময়ীর দাবি ছিল, মল্লিকার্জুন জমির জন্য জাল নথিপত্র পেশ করেছেন ‘মুডা’র দফতরে। অন্য দিকে, পার্বতীকেও বেআইনি ভাবে অভিজাত এলাকায় বহুমূল্য জমির মালিকানা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব সচিবকে চিঠিও লিখেছিলেন ওই সমাজকর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল গহলৌত।

MUDA Land Scam Karnataka Siddaramaiah Karnataka High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy