নিজের জীবন দিয়ে পাঁচ পর্যটকের জীবন বাঁচালেন জম্মু-কাশ্মীরের এক গাইড।
শুক্রবার সন্ধ্যায় পহেলগামে লিডার নদীতে র্যাফটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাঁচ পর্যটক। তাঁদের মধ্যে তিন জন স্থানীয়। দু’জন পশ্চিমবঙ্গের। তাঁরা দম্পতি মণীশকুমার সরাফ এবং শ্বেতা সরাফ। আচমকা ঝোড়ো হাওয়ায় লিডার নদীতে উল্টে যায় নৌকো। জলে পড়ে যান পাঁচ পর্যটক। সেই সময় নিজের জীবনের পরোয়া না করে নদীতে ঝাঁপ দেন পেশাদার গাইড রউফ আহমেদ দার। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান পাঁচ পর্যটককে। কিন্তু নিজে বাঁচতে পারেননি তিনি। ডুবে মৃত্যু হয় দারের। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং স্থানীয় পুলিশ গাইডকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। শনিবার উদ্ধার হয় দারের দেহ। ময়না-তদন্তের পরে ৩২ বছরের দারের দেহ তাঁর পরিবাররের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
দারের পরিবারকে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
শোক প্রকাশের পাশাপাশি দারের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। শোক জানিয়েছেন এনসি নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও। অনন্তনাগের ডেপুটি কমিশনার খালিদ জাহাঙ্গির বলেন, ‘‘যে ভাবে দার পাঁচ জনের জীবন বাঁচিয়েছেন, সেটাই হল আসল কাশ্মীরিয়ত।’’ সাহসিকতার পুরস্কারের জন্য দারের নাম প্রস্তাব করেছেন তিনি। প্রাণ বাঁচানোর জন্য দারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মণীশ এবং শ্বেতা।