মহড়ায় আট কামরার একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। —ফাইল চিত্র।
ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে বন্দে ভারত ছুটিয়ে ‘কবচ’ প্রযুক্তির কার্যকারিতা পরীক্ষা করল রেল। উত্তর-মধ্য রেলের অধীন আগরা ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার ওই পরীক্ষা হয়। রেল জানিয়েছে, মহড়ায় আট কামরার একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে চালানো হয়। এ যাবৎকালে এত জোরে বন্দে ভারত ছোটেনি। সেই মহড়ায় দেখা গিয়েছে, চালক ব্রেক না কষলেও কবচ প্রযুক্তির জোরে নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করে লাল সিগন্যালের ১০ মিটার আগেই ট্রেন থেমেছে। অর্থাৎ, পরীক্ষায় পাশ করেছে প্রযুক্তি।
রেলের দাবি, আপ ও ডাউন লাইনে পর্যায়ক্রমে ওই পরীক্ষা হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই মহড়া সফল হওয়ায় ওই আট কামরার বন্দে ভারতের ক্ষেত্রে এই ফলাফল ‘কার্যকর মাত্রা’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে রেলের সূত্র জানিয়েছে, ট্রেন থামাতে ন্যূনতম কত দূরত্বের প্রয়োজন হচ্ছে (ব্রেকিং ডিসট্যান্স) এবং কতটা শক্তি প্রয়োগ করে ব্রেক কষতে হচ্ছে, সেই হিসাব করা হচ্ছে। সেই হিসেবেই আট কামরার অন্যান্য ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা পরিবর্তিত (ক্যালিব্রেট) করা হবে।
রেলের খবর, আগরা এবং মথুরার মধ্যে একটি অংশে নয়াদিল্লি-জয়পুর বন্দে ভারত ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। দেশে বন্দে ভারতের এটি সর্বোচ্চ গতি। তাই ওই পথের মথুরা এবং পালওয়ালের মধ্যে ‘কবচ’ প্রযুক্তির পরীক্ষা করা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘কবচ’ একটি আরএফআইডি এবং জিপিএস নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি। এর ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। এই প্রযুক্তি কার্যকর করতে শুধু ইঞ্জিনেই ‘কবচ’ বসানো যথেষ্ট নয়। নির্দিষ্ট দূরত্বে রেললাইনে বিশেষ যন্ত্র ছাড়াও একাধিক টাওয়ার এবং অ্যান্টেনা বসাতে হবে। প্রতি কিলোমিটার রেলপথে ওই প্রযুক্তি বসাতে গড়ে ৯০ লক্ষ টাকা খরচ পড়ে। আপাতত দেশের অতিব্যস্ত তিন হাজার কিলোমিটার রেলপথে ওই প্রযুক্তি বসানোর কাজ চলছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy