Advertisement
E-Paper

কেজরী-বিজেপি সংঘাত খুন নিয়ে, ধর্নামঞ্চে স্বামীও

এক পুর-কর্মীর হত্যাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল আম আদমি পার্টি ও বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ০৯:৫১
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজবীবালের বাড়ির সামনে ধর্নায় বিজেপি সাংসদ মহেশ গিরি। সমর্থন জানাতে পাশে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ছবি: পিটিআই।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজবীবালের বাড়ির সামনে ধর্নায় বিজেপি সাংসদ মহেশ গিরি। সমর্থন জানাতে পাশে বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ছবি: পিটিআই।

এক পুর-কর্মীর হত্যাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়ল আম আদমি পার্টি ও বিজেপি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের অভিযোগ, ওই খুনের পিছনে রয়েছেন দিল্লির সাংসদ মহেশ গিরি। যে কথা শুনে গত কাল দুপুর থেকেই কেজরীবালের বাড়ির সামনে অনশনে বসেছেন মহেশ। তাঁর দাবি, কেজরীবাল ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন। আজ সেই ধর্নামঞ্চে গিয়ে গিরির দাবিকে সমর্থন জানান বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর হুমকি, ‘‘কেজরীবাল ক্ষমা না চাইলে জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রের উচিত এই সরকারকে বরখাস্ত করা।’’

তবে ক্ষমা চাওয়া তো দূর, উল্টে কেজরীবালের মন্তব্য, ‘‘এখন তো দেখছি খুনেরাও খুন করে আমার বাড়ির দোরগোরায় বসতে শুরু করেছে। পুলিশের উচিত এখনই মহেশ গিরিকে গ্রেফতার করে খুনের তদন্ত করা।’’ আপ শিবিরের অভিযোগ, উপরাজ্যপাল নজীব জঙ্গও গিরিকে বাঁচাতে তৎপর। সেই কারণেই নিষ্ক্রিয় রয়েছে পুলিশ।

১৬ মে এম এম খান নামে পুরসভার এক এস্টেট অফিসারকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ ওঠে, কনট প্লেসের একটি হোটেলের লিজের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া নিয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে খানের মতপার্থক্য হয়। সেই কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। খান খুন হওয়ার এক দিন পরই ওই হোটেলের লিজ পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা ছিল। তদন্তে নেমে ওই হোটেলের মালিক রমেশ কক্কর-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু কেজরীবালদের দাবি, মহেশ গিরিও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। কেননা খুনের ঠিক আগের দিন রমেশ দিল্লির উপরাজ্যপাল নাজিব জঙ্গের কাছে এই অফিসারকে বরখাস্ত করার আবেদন করেছিলেন। বিজেপি সাংসদ মহেশও সেই দাবিকে সমর্থন করে জঙ্গকে চিঠি লেখেন। একই দাবি জানান বিজেপি পরিচালিত নিউ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সহ-সভাপতি করণ সিংহ তানওয়ারও। কেজরীবালদের দাবি, মহেশ ও তানওয়ারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁরা কেন ওই হোটেল মালিকের হয়ে তদ্বির করেছিলেন তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে পুলিশকে।

Subramanian Swamy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy